ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে হতাহত ৪২, পালাচ্ছেন স্থানীয়রা
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ধেয়ে আসা ছাইয়ের কুণ্ডলিতে পুড়ে অন্তত একজনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪১ জন। এছাড়া অগ্নুৎপাতে জাভা দ্বীপের আশপাশের এলাকার আকাশে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি ও ছাই উড়তে দেখা গেছে।
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে জাভা দ্বীপের সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয় বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, পূর্ব জাভা প্রদেশের আশপাশের গ্রামগুলোতে ধোঁয়া ও ছাইয়ের বিশাল উঁচু স্তুপ তৈরি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা পালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
পূর্ব জাভার লুমাজাং জেলার উপপ্রধান কর্মকর্তা ইনদাহ মাসদার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে ধেয়ে আসা ধোঁয়া ও ছাইয়ে পুড়ে একজন নিহত এবং আরও ৪১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) বলেছে, তারা লোকজনের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় শিবির চালু করেছে। কিন্তু ঘন ধোঁয়ার কারণে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপিবির প্রধান সুহারিয়ানতো।
— jogjaupdate.com (@JogjaUpdate) December 4, 2021
এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার আকাশপথ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এয়ারন্যাভ ইন্দোনেশিয়া বলেছে, অগ্ন্যুৎপাত এখনো ফ্লাইট চলাচলের ওপর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
অগ্নুৎপাতের কারণে ধোঁয়া ও ছাইয়ের কুণ্ডলি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার মিটার ওপরে উঠতে পারে বলে দেশটির বিমানসংস্থাগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তা তরিকুল হক রয়টার্সকে বলেছেন, অগ্নুৎপাতের এলাকা থেকে নিকটবর্তী মালং শহরগামী সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ভলক্যানিক অ্যাশ অ্যাডভাইজরি সেন্টার (ভিএএসি) বলেছে, সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে ছাই একেবারে চূড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমে ভেসে যাচ্ছে।
জাভা দ্বীপের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত সেমেরু আগ্নেয়গিরি। এর আগে, গত জানুয়ারিতেও এই আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়েছে। তখন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
এসএস/জেএস