ওমিক্রন: বিশ্বকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান ডব্লিউএইচওর
দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ববাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, আতঙ্কিত না হয়ে বিশ্ববাসীর উচিত এই ধরনটিকে মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া।
শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বামীনাথান জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার তথ্য অনুযায়ী ওমিক্রন ধরনটি উচ্চ সংক্রামক এবং অদূর ভবিষ্যতে প্রাধান্য বিস্তারকারী বা ডমিন্যান্ট ধরন হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসব বিষয় এখনও উচ্চতর গবেষণার অবকাশ আছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই শীর্ষ বিজ্ঞানী বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে আমাদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিত? আমি বলব- অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং এই ধরনটিকে মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হবে। এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া বা গুজব ছড়ানো কিংবা সেসবে কান দেওয়া আমাদের একদমই উচিত হবে না।’
ডব্লিউএইচওর জরুরি অবস্থা বিভাগের পরিচালক মাইক রায়ান রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের হাতে করোনার বিরুদ্ধে উচ্চ মাত্রার একাধিক টিকা রয়েছে এবং এই মুহূর্তে আমাদের উচিত বিশ্বজুড়ে যেন আরো অধিকসংখ্যক মানুষ টিকার ডোজ পেতে পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।’
‘অবশ্যই টিকাদান কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য আসেনি যে, ওমিক্রমন ধরনে টিকা অকার্যকর।’
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানী ও জীবাণুবিদরা প্রথম করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের বিষয়ে বিশ্ববাসীকে জানান। তবে সম্প্রতি জানা গেছে, তার ৫ দিন আগে ১৯ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী।
ইতোমধ্যে বিশ্বের ৩০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, করোনার অতি সংক্রামক রূপান্তরিত ধরন ডেল্টার চেয়েও সংক্রামক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওমিক্রনের।
ভাইরাসের রূপান্তরিত এই ধরনটির বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেশ কিছু দেশ।
এসএমডব্লিউ