করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রমনের সংক্রমণ ঠেকাতে কোম্পানিগুলোকে তাদের টিকার পরিবর্তিত সংস্করণ আনার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার সুইজার‌ল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচও কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেইয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে লিন্ডমেইয়ার বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, ওমিক্রমনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই টিকা কোম্পানিগুলোর উচিত হবে এই ধরনটিকে মোকাবিলা করার উপযোগী টিকার সংস্করণ বাজারে আনা। আপনারা এটিকে সংস্থার আহ্বান বা নির্দেশ- যে কোনো কিছু ভাবতে পারেন।’

জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ও করোনা টিকা ফাইজার-বায়োএনটেকের অন্যতম অংশীদার বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর সাহিন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, তাদের কোম্পানি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং খুব দ্রুতই টিকার পরিবর্তিত সংস্করণ তার বাজারে আনতে পারবেন।

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রমণ সম্পর্কে এখনও পরিপূর্ণ বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে ডব্লিউএইচওর টেকনিক্যাল শাখার পরিচালক মারিয়া ভ্যান কারখোভ জানিয়েছেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারবে ডব্লিউএইচও।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষক ও জীবাণুবিদরা জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা বা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিরা ওমিক্রন সংক্রমণের শিকার হতে পারেন- এমন তথ্য তারা জানতে পেরেছেন।

তবে তারা এটিও বলেছেন যে, যারা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, সংক্রমণের পর তাদের কেউ গুরুতর অসুস্থ হননি। সবাই ভুগছেন মৃদু উপসর্গে।

সংবাদ সম্মেলনে লিন্ডমেইয়ারও বলেছেন, ওমিক্রন একটি বিধ্বংসী রূপান্তরিত ধরন- এ বিষয়টি সত্য হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টা।

ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র এ সম্পর্কে বলেন, ‘দেশে দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হয়তো এক সময় আমাদের সামনে প্রশ্ন আসবে ওমিক্রন ডেল্টাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে কি না।’

‘তবে একটি কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, আমরা এখন যে বাস্তবতায় আছি- সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুমকির নাম ডেল্টা।’

এসএমডব্লিউ