কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ?
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সংকট মোকাবিলা কমিটি। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে রাজ্য প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে বুধবার ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবার নেতৃত্বে এ বৈঠক হয়।
আলোচনায় কেন্দ্রীয় মৌসুম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল জানান, একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে। ৩ ডিসেম্বর এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। ঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করবে ৪ ডিসেম্বর। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের আভাস রয়েছে। উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে। ঘূর্ণিঝড় মূলত প্রভাব ফেলবে শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তম ও বিজয়নগরমে। এ ছাড়া এর প্রভাব পড়বে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্যসচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। ক্ষয়ক্ষতির আভাস রয়েছে, এমন সব রাজ্যে আপাতত ৩২টি দল পাঠিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রয়োজনে আরও অতিরিক্ত দল পাঠাতে হতে পারে। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে নৌবাহিনীকেও।
আলোচনায় ক্যাবিনেট সেক্রেটারির পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সম্ভাব্য গতিপথ সংলগ্ন এলাকা থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। জেলেরা যাতে এ সময়ে কোনোভাবে সমুদ্রে না যান, সে বিষয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
আরএইচ