Omicron: ওমিক্রনে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ বাইডেনের
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হওয়ার পর ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বাইডেন এই মন্তব্য করলেন। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও বিবিসি।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে দেওয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগের হতে পারে, কিন্তু এটি মোটেই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ নয়। ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে মার্কিন নাগরিকদের যারা এখনও টিকা নেননি এসময় তিনি তাদেরকে দ্রুত টিকা নেওয়ারও অনুরোধ জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা প্রধান প্রধান ভ্যাকসিন নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ওমিক্রনের মিউটেশন (জিনগত গঠনের পরিবর্তন) প্রতিরোধে সম্ভাব্য সকল কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, কোনো ধরনের লকডাউন বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়াই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মতো ভালো অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগের কারণ হতে পারে, তবে অবশ্যই আতঙ্কের কারণ নয়। আপনি যদি টিকা নেওয়ার পরও করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে টিকার বুস্টার ডোজ নিয়ে নিন। আর আপনি যদি টিকাই না নিয়ে থাকেন, তাহলে টিকা নিয়ে নিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে নিন।’
জো বাইডেন আরও জানান, তার প্রধান মেডিকেল পরামর্শক ড. অ্যান্থনি ফাউসি আশা করছেন- করোনার এই নতুন ধরনের বিরুদ্ধে বর্তমান টিকাগুলো কাজ করবে এবং টিকার বুস্টার ডোজ মানব শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিবে।
বাইডেনের ভাষায়, ‘আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও দ্বিধা ছাড়াই বৈজ্ঞানিক এবং বুদ্ভিদীপ্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করবো।’
গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রিক বর্ণমালার ১৫ নম্বর অক্ষর অনুযায়ী এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ওমিক্রন’ নামকরণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
টিএম