মাসখানেকের মধ্যেই ফের বাইডেন-পুতিন বৈঠক
জলবায়ু, ভূ-রাজনীতি ও মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। তবে সেসব উত্তেজনাকে এক পাশে রেখে চলতি বছরই ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এই বৈঠক মুখোমুখি ভাবে নয়, অনুষ্ঠিত হবে ভার্চ্যুয়ালি।
রোববার (২৮ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিন। মস্কোর আশা, চলতি বছরেই মধ্যেই ভিডিওলিংকের মাধ্যমে একে-অপরের সঙ্গে কথা বলবেন বাইডেন-পুতিন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
রুশ বার্তাসংস্থা আরআইএ’র প্রতিবেদন অনুযায়ী- ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ‘আমরা আশা করছি, চলতি বছর শেষের আগেই (উভয় প্রেসিডেন্টের মধ্যে) কথা হবে। তবে এখনও কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ হয়নি।’
ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সংখ্যক রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে মস্কোর উত্তেজনা সম্প্রতি বেড়েছে এবং এই পরিস্থিতিতেই বাইডেনের সঙ্গে পুতিনর সম্ভাব্য বৈঠকের কথাটি সামনে এলো।
রাশিয়ার কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ফের আলোচনার টেবিলে আনার অংশ হিসেবেই ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েনসহ রুশ কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত ভাবে উত্তেজনা বজায় রেখেছে।
এছাড়া গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনিস্কির সঙ্গে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
এর আগে ধুঁকতে থাকা সম্পর্ক মেরামতের ক্ষীণ আশা নিয়ে গত জুন মাসে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠকে অংশ নেন ভ্লাদিমির পুতিন এবং জো বাইডেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ভিলা লা গ্রেঞ্জে সেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বৈরী এই দুই দেশের সম্পর্ক গত কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে তলানিতে পৌঁছেছে। গত মার্চে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্টকে খুনি বলেও মন্তব্য করেছিলেন। মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে নজিরবিহীন অবনতির মাঝে গত জুনে জেনেভায় বাইডেন-পুতিন সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
আর চলতি বছর শেষের আগেই ভার্চ্যুয়ালি উভয় নেতার কথা বলার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৈরী এই দুই পরাশক্তির বৈঠক তাদের মধ্যকার উত্তেজনা কমাতে পারে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
টিএম