নাগরিকের কণ্ঠরোধকারী আইনের বিরুদ্ধে স্পেনে হাজারও পুলিশের বিক্ষোভ
প্রতিবাদের অধিকার এবং কণ্ঠরোধকারী নাগরিক নিরাপত্তা আইন সংস্কারের বিরোধিতায় স্পেনে হাজার হাজার পুলিশ কর্মকর্তা বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার মাদ্রিদে নাগরিক নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাবিত সংস্কার উদ্যোগের বিরোধিতায় এই বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেছেন তারা। বিক্ষোভকারী পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, এই আইনের ফলে তাদের কাজ করার ক্ষমতা ব্যাহত হবে।
দেশটির সমালোচকরা বলছেন, প্রস্তাবিত নাগিরক নিরাপত্তা আইন-২০১৫ সংস্কার করা হলে তা নাগরিকদের প্রতিবাদের অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করে ফেলবে। শনিবার মাদ্রিদে হাজার হাজার পুলিশ কর্মকর্তার বিক্ষোভে দেশটির প্রধান তিনটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক দলের রাজনীতিকরাও অংশ নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রস্তাবিত সংস্কার আইনে পুলিশের অননুমোদিত ছবি প্রকাশের জন্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধীদের ভারী জরিমানার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দেশটির বামপন্থী সরকার বিক্ষোভের সময় ছবি তোলা অথবা পুলিশের রেকর্ডিংকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইনটি সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। কিছুদিন আগে পুলিশ কর্মকর্তাদের ছোড়া রাবার বুলেটে বেশ কিছু লোক গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনার পর দেশটির সরকার আইনে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত আইনি পরিবর্তনে বলা হয়েছে, পুলিশকে বিক্ষোভে কম ক্ষতিকারক অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, বিক্ষোভ-প্রতিবাদে গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনদের পুলিশ হেফাজতে রাখার সময়সীমা ছয় ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হবে। এছাড়া তাদের আয়ের ওপর নির্ভর করে জরিমানার হার নির্ধারিত হবে।
দেশটির সিভিল গার্ডের সদস্য ভেনেসা গঞ্জালেস রয়টার্সকে বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকারকে হয় বর্তমান আইনটি যেমন আছে সেভাবে রাখতে হবে, নতুবা পুলিশ এবং নাগরিকদের জন্য এটি আরও ভালো করা উচিত।
দেশটির কট্টর ডানপন্থী ভক্স পার্টির রাজনীতিক ইভান এসপিনোসা দে লস মনটেরোস বলেন, এই আইন সংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা রয়েছে। এটা আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধে এবং আমরা এটা হতে দেব না। আইনটি স্প্যানিশ গণতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর স্পেনের ক্যান্টাব্রিয়ার বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দেশটির কট্টর বামপন্থী ইউনিডাস পোদেমোস পার্টির মুখপাত্র ইসা সেরা।
আয়োজকরা বলেছেন, মাদ্রিদের বিক্ষোভে কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। যদিও দেশটির সরকার বলছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারের মতো।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস