অক্সফোর্ড স্নাতক হলেন মালালা
জীবনের আরেক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন মালালা ইউসুফজাই। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ও পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকার কর্মী মালালা।
এক বছরের বেশি সময় অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক শেষ করলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সনদ প্রদান অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সনদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ায় আনন্দ উদযাপনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন ২৪ বছর বয়সী মালালা।
বিজ্ঞাপন
ছবিতে দেখা যায়, তিনি পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে নিয়ে প্রথাগত স্নাতকের কালো গাউন এবং টুপি পরে ছবি তুলছেন। ছবির ক্যাপশনে এই মানবাধিকার কর্মী লিখেছেন, ‘দৃশ্যত আমি একটি ডিগ্রি পেয়েছি।’
মালালার হাসিখুশি এসব ছবিতে তার স্বামী আসার মালিককেও দেখা গেছে। যেখানে স্ত্রীর অর্জনে উল্লাস করছেন তিনি। ক্যামেরার সামনে এই নবদম্পতিকে প্রাণোচ্ছল ও হাশিখুশি দেখা যায়।
স্ত্রীর অর্জনে গর্বিত আসার মালিক ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন। মালালা ইউসুফ জাইয়ের পাশে দাঁড়ানো ছবি পোস্ট করে মালিক লিখেছেন, আমরা যে জায়গাটিতে প্রথম দেখা করেছিলাম, মালালার স্নাতকের দিনে সেই স্থানটি একটু বেশিই বিশেষ হয়ে উঠেছিল।
২০১৮ সালের গ্রীষ্মে অক্সফোর্ডে আসার মালিকের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় মালালার। অক্সফোর্ডের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে মালালার বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই এবং মা তুর পেকাই ইউসুফজাইকেও দেখা যায়।
গত ৯ নভেম্বর এক টুইট বার্তায় শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা নিজের বিয়ের খবর দেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি মূল্যবান দিন। আসার এবং আমি সারা জীবনের জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছি। বার্মিংহামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছোট পরিসরে নিকাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জীবনের বাকি অংশ আমরা একসঙ্গে কাটাতে চাই। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে, গত জুনে ব্রিটিশ সাময়িকী ভোগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দু’জন মানুষের সম্পর্কের জন্য বিয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন মালালা। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখনও বুঝি না মানুষ কেন বিয়ে করে? আপনার জীবনে যদি একজন মানুষের দরকার হয়, তাহলে কেন আপনাকে বিয়ের কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে? কেন শুধুমাত্র এটি এক ধরনের পার্টনারশিপ হতে পারে না?’
তার এই পুরোনো মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আসার মালিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা মালালা বলেন, বিয়ে নিয়ে তার দুশ্চিন্তা ছিল। তবে তার মূল্যবোধ বুঝতে পারার মতো একজনকে বিয়ে করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছেন তিনি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এসএস