দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ফ্লাইটে ৮৫ করোনা রোগী
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নেদারল্যান্ডসে আসা দুটি ফ্লাইটের ৬০০ যাত্রীর মধ্যে ৮৫ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামের শিফোল বিমানবন্দরে ঘটেছে এই ঘটনা।
এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার শিফোর বিমানবন্দরে অবতরণ করে নেদারল্যান্ডের বিমান পরিষেবা সংস্থা কেএলএমের দুটি বিমান। দক্ষিন আফ্রিকা থেকে আসা এই বিমান দু’টিতে যাত্রী ছিলেন প্রায় ৬০০।
বিজ্ঞাপন
নিয়ম অনুযায়ী, আগত প্রত্যেক যাত্রীকেই বিমানবন্দরে র্যাপিড টেস্ট করা হয়, সেখানেই করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন এই ৮৫ যাত্রী।
শনিবার দেশটির স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলেছে, ‘করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়া এই যাত্রীরা ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত কি না তা যত দ্রুত সম্ভব জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত এই যাত্রীদের বিমানবন্দরের নিকটস্থ হোটেলগুলোতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় বি.১.১৫২৯ নামের এই রূপান্তরিত ধরনটি, পরে গ্রিক বর্ণমালা অনুসারে যার নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। ইতোমধ্যে এই ধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ইসরায়েল ও হংকংয়ে পাওয়া গেছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান।
যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া রূপান্তরিত ধরনটির স্পাইক প্রোটিন মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। ফলে, মূল করোনাভাইরাস থেকে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি- এমন শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটি মূল ভাইরাস ও তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে বা মানুষকে আক্রান্ত করতে সক্ষম।
ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিক যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেসব পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে- করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা সব ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডে জঙ্গে জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রওনা হয়ে যেসব যাত্রী এখনও পথে রয়েছেন, নেদারল্যান্ডসে পৌঁছানোর পর তাদের প্রত্যেকের করোনা টেস্ট করা হবে।
এসএমডব্লিউ