দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। দেশটির বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনার এই ধরন ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মিউটেশন ঘটিয়েছে। ধরনটি কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে বোঝার চেষ্টা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের একটি দল করোনার নতুন ধরন ‘বি.১.১.৫২৯’ শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেছে। সম্প্রতি দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে এই ধরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির ভাইরোলজিস্ট তুলিও দে ওলিভেইরা বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত করেছি; যা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য উদ্বেগের কারণ।

দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) বলেছে, বিজ্ঞানীরা অল্প সংখ্যক মানুষের মাঝে কোভিড-১৯ এর নতুন একটি ধরন শনাক্ত করেছেন। একই সঙ্গে তারা এই ধরনটির সম্ভাব্য প্রভাব বোঝার জন্য কাজ করছেন।

এনআইসিডির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ২২ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন বি.১.১.৫২৯ শনাক্ত হয়েছে। সংস্থাটির অধ্যাপক আদ্রিয়ান পুরেনের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডেটা সীমিত হলেও আমাদের বিশেষজ্ঞরা নতুন ধরন এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব কী হতে পারে, তা বোঝার জন্য বিদ্যমান সব নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।

গত বছর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের বেটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যে চারটি ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, বেটা সেসবের একটি। করোনার এই ধরন অতি-সংক্রামক এবং এই ধরনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কম।

চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে করোনার আরেকটি ধরন সি.১.২ শনাক্ত হয়। তবে সেটি ডেল্টা ধরনের তুলনায় কম সংক্রামক।

সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।

এসএস