কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ

কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ দীর্ঘ মেয়াদে দেশের অধিকাংশ প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি নিজেই।

বুধবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে শেখ নাওয়াফ বলেন, কুয়েতের আমির হিসেবে তার যেসব সাংবিধানিক দায়-দায়িত্ব রয়েছে, সেসবের অধিকাংশই ইতোমধ্যে তিনি দেশের ক্রাউন প্রিন্স ও তার বৈধ উত্তরাধিকারী শেখ মেশাল আল আহমেদ আল সাবাহকে হস্তান্তর করেছেন।

কতদিন পর্যন্ত ক্রাউন প্রিন্স এসব দায়িত্ব সামলাবেন, তা ভাষণে উল্লেখ করেননি আমির।

শেখ নাওয়াফ যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন সে সময় তার পেছনে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের যুবরাজ শেখ মেশাল আল আহমেদ আল সাবাহ, প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ এবং দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য মারজুক আল ঘানিম।

ভাষণের এক পর্যায়ে দুর্বলতাজনিত কম্পিত গলায় শেখ নাওয়াফ বলেন, ‘আমার বিশ্বাস-এই তিনজন দেশ পরিচালনার মতো গুরু দায়িত্ব সফলভাবে পালনে সক্ষম হবে।’

গত আট নভেম্বর কুয়েতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ মন্ত্রিসভাসহ পদত্যাগের পর সৃষ্টি হয়েছিল দেশটিতে প্রশাসনিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দেশটির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল আহমেদ আল খালিদকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন, পাশাপাশি অবিলম্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের নির্দেশও দেন তিনি।

কুয়েতের সংবিধান অনুযায়ী, এ ধরনের পদক্ষেপ নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে কেবল আমিরের। তার পরিবর্তে ক্রাউন প্রিন্স এ দায়িত্ব পালন করায় দেশটির জনগণের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল।

আমিরের বুধবারের ভাষণ সেসব প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি অনেকটাই দূর করেছে বলে মনে করছেন দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

এসএমডব্লিউ