আর কয়েক মাসের মধ্যে জার্মানিতে বসবাস করা সব মানুষকে টিকা নেওয়া, সুস্থ বা মৃত- এই তিন ভাগে ভাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিনস স্প্যান। পাশপাশি যারা এখনও করোনা টিকা নেননি, তাদেরকে দ্রুত টিকার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার লক্ষ্য নিয়েছে- চলতি বছর শীতের শেষে জার্মানির জনগণকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। এগুলো হলো- টিকা নেওয়া, সুস্থ ও মৃত।’

‘আমরা জার্মানির জনগণকে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি। করোনার ডেল্টা ধরনকে প্রতিহত করতে হলে টিকার বিকল্প নেই।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন পরিস্থিতিতে এ কথা বললেন, যখন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রেকর্ড পরিমাণ দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে জার্মানিতে, হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে রীতিমতো শয্যার সংকট শুরু হয়েছে।

ব্যাপারটি স্বীকার করেছেন জিনস স্প্যানও। সাক্ষাৎকারে এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালগুলো বর্তমানে খুবই, খুবই কঠিন পরিস্থিতি পার করছে।’

দেশটির স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট হেলথ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার জার্মানিতে ‘করোনা পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬৪৩ জন।

এছাড়া, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৩ লাখ মানুষ, মারা গেছেন প্রায় ১ লাখ। এর মধ্যে সোমবার জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২ জন।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানিতে টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা মানুষের হার কম। অবারিত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ৬৮ শতাংশ।

সংক্রমণ-মৃত্যু বাড়তে থাকায় গত সপ্তাহ থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হয়েছে জার্মানিতে। সিনেমা হল, ব্যায়ামাগার ও রেস্তোরাঁগুলোতে টিকার ডোজ সর্ম্পূর্ণ না করাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

তাছাড়া, বিভিন্ন পেশাজীবীদের ইতোমধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে- সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে যে কোনো সময় হোম অফিসের ঘোষণা দিতে পারে সরকার।

এসএমডব্লিউ