কোভিড: বিক্ষোভ সত্ত্বেও লকডাউনে ফিরছে অস্ট্রিয়া
করোনা বিষয়ক কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে জনগণ, কিন্তু তাকে আমলে না নিয়ে দৈনিক সংক্রমণে লাগাম টানতে তিন সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন জারি করছে দক্ষিণ ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া। মহামারির প্রায় দুই বছরে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো লকডাউন জারি হচ্ছে দেশটিতে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির সরকার জানিয়েছে, আজ (২২ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে আগামী ১২ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশের সব রেস্তোরাঁ, পানশালা, থিয়েটার, ব্যায়ামাগার, সেলুন-পার্লার এবং নিত্য দিনের জন্য প্রয়োজনীয় নয়- এমন সব পণ্য ও সেবা বিক্রির প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে কেবল খাদ্যপণ্য ও ওষুধের দোকান।
বিজ্ঞাপন
পাশপাশি, ও অতি জরুরি কারণ ছাড়া জনগণকে বাড়ি থেকে বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে। তবে পুলিশ, সংবাদকর্মীসহ কিছু নির্দিষ্ট পেশার মানুষজনকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
দেশে লকডাউন জারি হতে পারে- গত কয়েকদিন ধরেই এমন আলোচনা চলছিল অস্ট্রিয়ায়। তার জেরে বিক্ষোভও চলছিল। সোমবার রাজধানী ভিয়েনায় করোনা বিধিনিষেধ ও লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছিলেন লাখ লাখ মানুষ।
তাদের অভিযোগ- কঠোর বিধিনিষেধ ও লকডাউনের মাধ্যমে সরকার নাগরিকদের স্বাধীনতা হরণ করছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটেছে।
তবে জনগণের এই বিক্ষোভকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় দেশটির সরকার। রোববার রাতে অস্ট্রিয়ার সংবাদমাধ্যম ওআরএফ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলফগ্যাং মুয়েখস্টেইন বলেন, ‘এখন লকডাউন জারি ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র লকডাউনই পারে দেশে দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে।’
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইউরোপের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, চলতি বছর শীতে মহাদেশটিতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে।
শনিবার ডব্লিউএইচওর ইউরোপ শাখার পরিচালক ড. হ্যান্স ক্লাগ এক সাক্ষাৎকারে বিবিসিকে বলেন, যদি টিকাদান কর্মসূচিতে ঢিল পড়ে, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান শিথিল করা হয় এবং জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোভিড পাসের ব্যবস্থা না করা হয়, সেক্ষেত্রে শীত শেষে বসন্তের আগেই ইউরোপে অন্তত ৫ লাখ মানুষ করোনায় মারা যাবেন।
এসএমডব্লিউ