করোনার পঞ্চম ঢেউ বিদ্যুতের গতিতে আঘাত হেনেছে : ফ্রান্স
ফ্রান্সে করোনার পঞ্চম ঢেউয়ে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। ইউরোপের এই দেশটিতে নতুন করে দৈনিক করোনা সংক্রমণ আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি রয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে দেশটিতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ছিল দৈনিক গড়ে ৯ হাজার ৪৫৮টি। গত সাত দিন সেই সংখ্যা গড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার প্রায় ৮১ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ফরাসি সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউ বিদ্যুতের গতিতে শুরু হয়েছে। সর্বশেষ সাত দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার গত তিন সপ্তাহের তুলনায় তিনগুণের বেশি। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার ত্বরিত গতিতে ঘটছে।
তবে সংক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেলেও দেশটির হাসপাতালে রোগীদের তেমন ঢল দেখা যায়নি। করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর টিকার উচ্চ হারের কারণে রোগীদের হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না বলে মনে করছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
শনিবারও দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে ৭ হাজার ৯৭৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৩৩ জন রয়েছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। এক মাস আগে রোগীর এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে সাড়ে ৬ হাজার ও এক হাজার।
গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেছেন, সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তবে আমরা এটাও জানি যে, ফ্রান্সে আমাদের ব্যাপকসংখ্যক মানুষ টিকার আওতায় রয়েছেন। আমরা বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদের চেয়ে এগিয়ে আছি বলে মনে হচ্ছে।
অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সের স্বাস্থ্য পাসের প্রবর্তনও কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দেশটির রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং অনেক সাংস্কৃতিক স্থানে টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া, সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা অথবা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া লোকজনই কেবল প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এসব স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য পাস দেখাতে হবে।
সূত্র: এএফপি।
এসএস/জেএস