করোনায় আক্রান্ত নন এবং ভ্যাকসিনের প্রতি যারা ভালোভাবে সাড়া দেন না; এমন মানুষদের জন্য একটি প্রতিরোধমূলক কোভিড-১৯ ককটেল থেরাপি আনার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট এই কোম্পানি বলেছে, তাদের এই অ্যান্টিবডি ড্রাগ ককটেল করোনার বিরুদ্ধে ছয় মাস ধরে ৮৩ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

গত আগস্টে এই ওষুধটির শেষ ধাপের পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়ে দেখা যায়, এজেডডি৭৪৪২ অথবা এভুশেল্ড নামের এই ইনজেকশন থেরাপি নেওয়ার তিন মাস পরও সেটি করোনার উপসর্গজনিত অসুস্থতার বিরুদ্ধে ৭৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।

ব্রিটিশ-সুইডিশ এই কোম্পানি বলেছে, করোনার মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গের রোগীদের শরীরে এই ওষুধের পৃথক এক পরীক্ষায় এজেডডি৭৪৪২ এর উচ্চ ডোজে করোনার উপসর্গ গুরুতর হওয়ার ঝুঁকি ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে ফেলে। প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে এই ওষুধটি দেওয়া হলে এমন ফল মেলে।

দীর্ঘমেয়াদী ফলোআপের পর সর্বশেষ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফল অ্যাস্ট্রাজেনেকার অবস্থানকে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজারের ওষুধের মতোই শক্ত করছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজারকে করোনার ভ্যাকসিন এবং ওষুধের ভবিষ্যৎ দুই সরবরাহকারী হিসেবে মনে করা হয়।

বিভিন্ন ধাপের পরীক্ষায় তাদের ওষুধ এবং টিকা করোনার বিরুদ্ধে কার্যকরী ফল দিয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, থেরাপির প্রকৃত সুবিধা হলো এটি প্রতিরোধমূলক।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মিনে প্যানগালোস এক বিবৃতিতে বলেছেন, নতুন এসব ডেটা এজেডডি৭৪৪২ এর কোভিড-১৯ প্রতিরোধ এবং চিকিত্সার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য করার সম্ভাবনাকে তুলে ধরছে।

এসএস