পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসী ও গ্রামরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সংঘাতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, আগের দিন মঙ্গলবার একদল বন্দুকধারী সন্ত্রাসী নাইজারের তাহুয়া এলাকার বাকোরাত গ্রামে হামলা করে। এ সময় স্থানীয় গ্রামরক্ষী দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় তাদের। এক পর্যায়ে রক্ষী দলের সঙ্গে যুক্ত হয় দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

বাকোরাত গ্রামের নিকটবর্তী শহর তিলিয়ার মেয়র আত্তাওয়ানে আবেইতানে রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা বাইরে থেকে এসেছিল এবং  সংখ্যায় তারা ছিল অনেক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন গ্রামরক্ষীদের সঙ্গে যুক্ত হলো- সে সময় রক্ষী দলের মাত্র একজন জীবিত ছিল।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পিছু হটতে থাকে সন্ত্রাসীরা। আবেতাইনে জানান, সন্ত্রাসীদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে এবং তাদের কয়েকটি মোটরসাইকেল জব্দ করে জ্বালিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসীরা।

এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে নি। তবে দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ধারণা, সাম্প্রতিক এই হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পশ্চিম আফ্রিকা শাখা বা তাদের কোনো মিত্র গোষ্ঠী যুক্ত।

গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার, নাইজেরিয়া, মালি ও বুরকিনা ফাসোতে অস্ত্রধার ডাকাতদল ও আইএসের তৎপরতা বাড়ছে। বিভিন্ন সময়ে মোটর সাইকেল ও গাড়িতে এসে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা, লুটপাট, ডাকাতি, অপহরণ ও গবাদিপশু চুরি করে তারা।

সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রভাব কম থাকায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে দিন দিন হামলার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোর হামলায় পশ্চিম আফ্রিকার এই চার দেশে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ।

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষায় সম্প্রতি ‍নাইজার, নাইজেরিয়া মালি ও বুরকিনা ফাসোর বিভিন্ন এলাকার অধিবাসীরা বাধ্য হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন, গ্রামে গ্রামে গঠন করছেন রক্ষী বাহিনী।

মঙ্গলবার নাইজারে রক্ষী বাহিনীর একটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা।

এসএমডব্লিউ