পোল্যান্ড সীমান্তে শরণার্থীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ
পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্ত ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে। দেশ দু’টির সীমান্ত এলাকায় আটকে থাকা শরণার্থীদের সাথে পোলিশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাটি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
পোল্যান্ডের ন্যাশনাল ডিফেন্স মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তের বেলারুশ অংশে আটকে থাকা শরণার্থীরা কুজনিকা বর্ডার পার হওয়ার চেষ্টা করে এবং পোলিশ নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে। জবাবে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পোলিশ এই মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘শরণার্থীরা পোল্যান্ডের সেনাদের ওপর পাথর দিয়ে হামলা করে এবং জোর করে পোল্যান্ডের ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করে। শরণার্থীদের আগ্রাসন রুখতে আমাদের বাহিনী টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।’
ইরাক থেকে যাওয়া শরণার্থীদের বেআইনিভাবে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেওয়া নিয়ে পোল্যান্ড সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে বেলারুশের বিরুদ্ধে। শরণার্থীদের সহযোগিতারও অভিযোগ রয়েছে দেশটির বাহিনীর বিরুদ্ধে। শরণার্থী ইস্যুতে গত সপ্তাহের প্রথম থেকে পোলিশ-বেলারুশ সীমান্ত উত্তাল হয়ে ওঠে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অস্থিতিশীল করতে শরণার্থীদেরকে সীমান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেও বেলারুশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তবে বেলারুশ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অবশ্য গত সপ্তাহ থেকেই তীব্র শীত ও ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে ওই দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছেন হাজার হাজার শরণার্থী। আটকে পড়া এসব শরণার্থীদের বেশিরভাগই ইরাক থেকে যাওয়া।
সেখানে কার্যত প্রাণের সঙ্গে লড়াই করছেন হাজার হাজার শরণার্থী। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে কোনোরকমে অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করে সেখানে অবস্থান করছেন তারা। সীমান্তের ওই এলাকায় নেই খাবার, এমনকি প্রয়োজনীয় পানিরও সংকট রয়েছে।
এদিকে সীমান্তে আটকে থাকা শরণার্থীদের ওপর পোল্যান্ডের নিরাপত্তারক্ষীদের টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। বেলারুশের ঘনিষ্ঠ মিত্র এই দেশটি শরণার্থীদের ওপর শক্তিপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
মূলত বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করা শরণার্থীদের অধিকাংশই ইরাকের নাগরিক। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ আবার জাতিগতভাবে কুর্দি। ইরাকি ছাড়াও সিরিয়া ও আফগানিস্তানের মানুষও সেখানে আছেন।
টিএম