গ্লেনডন গালিভার

বিমান চালানোর আগে বিপুল পরিমাণে মদ্যপানের অভিযোগে এক পাইলটকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের একটি আদালত। খবর বিবিসি অনলাইনের।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাইলট গ্লেনডন গালিভার (৬৩) যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। দেশটির শীর্ষ বিমান পরিষেবা সংস্থার ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের পাইলট ছিলেন তিনি। গত শতকে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় যুদ্ধে মার্কিন সেনা সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন গালিভার।

বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কগামী একটি ফ্লাইটের প্রধান পাইলট হিসেবে উড়োজাহাজে ওঠার কথা ছিল তার।

কিন্তু তার আগে, ০১ আগস্ট রাতে গ্লাসগোর একটি পানশালায় বিপুল পরিমাণ মদ পান করেন তিনি। ঘটনাচক্রে ওই পানশালায় অবস্থান করছিলেন বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা। তিনি তার মদ্যপানের ছবি তোলেন এবং টুইটারে তা ছড়িয়ে দেন।

এদিকে, এই ঘটনা ঘুনাক্ষরেও টের না পাওয়া গালিভার ২ আগস্ট বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাজ্যে বিমান, ট্রেনসহ যে কোনো গণপরিবহনের চালকদের জন্য কাজ শুরুর আগে নিঃশ্বাস পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। যদি নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের অস্তিত্ব ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রে তা দেশটির আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গ্লাসগোর পাইসলি শেরিফ আদালতে চলেছে গালিভারের বিচারকাজ। তিনি অবশ্য শুরুতেই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

মামলার পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তির  যে বিমানটি চালানোর কথা ছিল, সেখানে যাত্রী ছিলেন মোট ১৭৭ জন। তাদের মধ্যে শিশু ও নারীও ছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের আশা ছিল- তাদের পাইলট ভদ্র ও প্রকৃতিস্থ অবস্থায় থাকবে।’

‘যদি ঠিক সময়ে তাকে আটক করা না হতো তাহলে কী ঘটতে পারত- ভাবতেই গায়ে কাঁটা দেয়।’

এদিকে, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স জানিয়েছে- আদালতের রায়ের পরই ওই বিমানচালককে বরখাস্ত করেছে কোম্পানি।

এসএমডব্লিউ