এক দশক পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে হাজির হয়ে লিবিয়ার প্রয়াত স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশটিতে শুরু হওয়া বিশৃঙ্খলার অবসানে সহায়তা করতে আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য রোববার নিবন্ধন করেছেন তিনি।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ৪৯ বছর বয়সী সাইফ আল-ইসলাম আল-গাদ্দাফিকে ঐতিহ্যবাহী বাদামী পোশাক, পাগড়ি, চোখে চশমা এবং ধূসর দাড়িতে দেখা যায়। ভিডিওতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর সেভায় নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রে নাম নিবন্ধনে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে দেখা যায় তাকে।

সাইফ-আল-ইসলাম আল-গাদ্দাফি দেশটির সবচেয়ে প্রখ্যাত এবং বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সাধারণ এই নির্বাচনে তার সঙ্গে লড়বেন দেশটির পূর্বাঞ্চলের সামরিক কমান্ডার ও হাফতার বাহিনীর প্রধান খলিফা হাফতার, প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ আল-দেইবাহ ও সংসদের স্পিকার আগুইলা সালেহ।

লিবিয়ায় সাইফ আল-ইসলামের নাম অন্যতম পরিচিত। যদিও তিনি ২০১১ সালের ন্যাটো-সমর্থিত অভ্যুত্থানের আগে দেশটিতে নীতি-নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন; যা তার পরিবারের দেশ শাসনের সক্ষমতা ধ্বংস করেছিল।

ওই অভ্যুত্থানে ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হন লিবিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি। এই ঘটনার পর গত এক দশক ধরে সাইফ গাদ্দাফিকে কখনই জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

লিবিয়ার বিবাদমান দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাইফ-আল-ইসলামের প্রবেশ এবং বিভিন্ন অঞ্চলে তার গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে।

আগামী ২৪ ডিসেম্বরের নির্বাচনে লিবিয়ার বিভিন্ন দল এবং বিদেশী শক্তির সমর্থন সত্ত্বেও ভোট নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। কারণ ইতোমধ্যে বিবাদমান বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে নির্বাচনী বিধি ও সূচি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
 
সূত্র: রয়টার্স।

এসএস