১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার ৩০১ দিন পর গতকাল শনিবার প্রথম ডোজ টিকাদানের শতভাগ লক্ষ্য পূরণ করেছে মুম্বাই। 

মুম্বাইয়ে ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৬ জন প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ লক্ষ্যের চেয়ে বেশি সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ককে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। ওই সময় পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৯২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৭ জন।  আর দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬০ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৮ জন। 

তবে বলা হচ্ছে, মুম্বাই হয়তো পরিসংখ্যানগত দিক থেকে প্রথম ডোজের শতভাগ লক্ষ্য পূরণ করেছে, কিন্তু বাস্তবে এ লক্ষ্য পূরণে তাদের আরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মুম্বাইয়ে যারা টিকা পেয়েছেন তাদের মধ্যে এমন ১০-২০ শতাংশ মানুষ থাকতে পারেন, যারা আসলে মুম্বাই মেট্রোপলিটন অঞ্চলের বাইরের বাসিন্দা। 

মুম্বাইয়ের ঊর্ধ্বতন একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. মঙ্গল গোমারে বলছেন, আমরা অবশ্যই এ হিসাবটাকে আমলে নিচ্ছি। আমাদের টিকাদান কর্মসূচি পুরোদমে চলতে থাকবে। এখানেই আমাদের থেমে গেলে চলবে না। 

মুম্বাইয়ের অতিরিক্ত মিউনিসিপ্যাল কমিশনার সুরেশ কাকানি বলছেন, অন্য কোনো জেলা এত অল্প সময়ে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এটা একটা সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। পৌরকর্মী, বেসরকারি হাসপাতাল, এনজিও আর অন্যান্য মাঠকর্মীদের চেষ্টায় আমার এটা অর্জন করতে পেরেছি। 

২৫ মার্চের মধ্যে ১০ লাখ ডোজ টিকা দিতে পেরেছিল মুম্বাই। ৪ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রথম কোনো জেলা হিসেবে ১ কোটি ডোজ টিকার মাইলফলক স্পর্শ করে মুম্বাই। 

কাকানি মনে করেন, লক্ষ্য অর্জনে টিকা কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণ গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা রেখেছে।  

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও মহারাষ্ট্রের কোভিড ১৯ টাস্ক ফোর্সের সদস্য ড. ওম শ্রীবাস্তব বলছেন, এটা অবশ্যই  খুবই ভালো একটা খবর। এর অর্থ হলো এ শহরের মানুষ এখন করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত। কিন্তু তাই বলে আমরা ঢিলা দিতে পারি না। এ ভাইরাস সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আগে থেকে কিছু বলা যায় না। এখনও বিশ্বের অনেক দেশে প্রচুর সংক্রমণ হচ্ছে। ফ্রান্স ঘোষণা দিয়েছে সেখানে করোনার পঞ্চম ঢেউ চলছে।  

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস। 

এনএফ