নভেম্বরের শুরু থেকে দিল্লির বাতাস যেন আরও ভারী হয়ে উঠেছে। দিনের বেলায় যেন ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে রাজধানীজুড়ে। দিনের আলোয় এই রাজধানী শহরের আকাশ দেখে মনে হবে ঘন-কুয়াশায় চেয়ে গেছে। সহসাই এই পরিস্থতির উন্নতি হচ্ছে না বলে আভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির বায়ু মান সূচক আরও কিছুটা বেড়ে শুক্রবার বিকেল ৪টা নাগাদ দাঁড়ায় ৪৭১।

অতিরিক্ত দূষণের ফলে সব সরকারি ও বেসরকারি অফিসের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

শহর থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার প্রস্তাবও করেছে এই সংস্থাটি। এছাড়া খুব প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বেরোতেও নিষেধ করা হয়েছে শহরের বাসিন্দাদের। 

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পূর্বাভাস, বাতাসের বেগ যদি কম থাকে, তা হলে ১৮ নভেম্বরের আগে দিল্লির বায়ু মান সূচক নামার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। প্রতি বছরই দীপাবলির পর ১ নভেম্বর থেকে ১৫ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় দিল্লিতে। বাজি পোড়ানো তো বায়ুদূষণের অবশ্যই বড় কারণ। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাতাস বিষাক্ত হয়ে ওঠার মূলে থাকে পড়শি রাজ্যের কৃষি জমিতে খড়বিচালি পোড়ানো। প্রতি বছরই শীত আসার আগে সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে নতুন ফসল ওঠার সময় পর্যন্ত খেতখামারে শুকনো খড়বিচালি পুড়িয়ে দেন চাষিরা। এই রকম প্রায় চার হাজারেরও বেশি কৃষি জমিতে খড়কুটো পোড়ানোর ধোঁয়া দিল্লির দিকে চলে আসায় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয় বলে জানাচ্ছে পর্ষদ।

বলা হচ্ছে, দিল্লির এ দূষণের ৩৫ শতাংশ কারণ ৪শ খেত-খামারে খড়কুড়ো পোড়ানো।

এসএম