দিল্লিতে হঠাৎ মদের আকাল দেখা দিয়েছে। এতে হাহাকার পড়ে গেছে শহরে। মদ্যপানকারীরা দিল্লি থেকে বাধ্য হয়ে ছুটছেন পার্শ্ববর্তী গুরগাঁও এবং নদীয়ায়।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এক সপ্তাহের বিশি সময় ধরে এই অবস্থা চলছে। সরকার শুল্কনীতিতে পরিবর্তন এনেছে। পুরোনো নীতি থেকে নতুন নীতিতে যাওয়ার মধ্যবর্তী সময় হিসেবে গত ১ অক্টোবর থেকে দিল্লির সব বেসরকারি মদের দোকান বন্ধ রয়েছে। এতে এই সংকট দেখা দিয়েছে। 

দামি মদের সংকট বেশি জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত শুধু সরকারি মদের দোকান খোলা থাকবে। প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের মদের সংকট দেখা দেওয়ায় সস্তা মদ পানে বাধ্য হচ্ছে লোকেরা। তবে সস্তা মদ পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে। 

১৭ নভেম্বরে বেসরকারি দোকান খুলে গেলেও মদের যোগান স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান অ্যালকোহলিক বেভারেজ কোম্পানির মহাপরিচালক বিনোদ গিরি। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই মদের নতুন দাম নির্ধারণ চূড়ান্ত হয়নি। বেসরকারি দোকান বন্ধের আগে যে মদ অবিক্রিত রয়ে গেছে সেগুলোর ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে সুস্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

দিল্লি সরকার বলছে, ১৭ নভেম্বর থেকে নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নে তারা বদ্ধ পরিকর। সাময়িকভাবে মাদক ক্রেতারা কিছু অসুবিধায় পড়লেও দীর্ঘমেয়াদীভাবে নতুন নীতিমালা তাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবেই গণ্য হবে। 

দিল্লি সরকারের নতুন শুল্কনীতি অনুযায়ী, মদ বিক্রি ও পানের জন্য রাজধানীকে ৩২টি জোনে (এলাকায়) ভাগ করা হয়েছে। এখন থেকে মদ পানের লাইসেন্সও দেওয়া হচ্ছে জোন ভিত্তিক। এতে সরকারের আয় বাড়বে এবং ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা আরও সুখকর হবে বলে দাবি সরকারের। 

এইচকে