আফগানিস্তানজুড়ে প্রাদেশিক গভর্নর ও পুলিশ প্রধানসহ ৪৪টি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের অনুগত সদস্যদেরই নিয়োগ দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবান। দেশটির ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই রোববার (৭ নভেম্বর) দেশজুড়ে এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করল তারা।

গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কাবুলের ক্ষমতা দখল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর রোববারই প্রথম এতো বড় সংখ্যায় অনুগতদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। সোমবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

অনুগত সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে তালেবান। তালিকা অনুযায়ী, কাবুলের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ক্বারি বারইয়াল এবং সেখানকার পুলিশ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ওয়ালি জান হামজা।

এর আগে কাবুলের প্রধান নিরাপত্তা কমান্ডার ছিলেন মৌলভী হামদুল্লাহ মুখলিস। চলতি মাসেই কাবুলের একটি সামরিক হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলায় তিনি নিহত হন।

২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। আফগান সব সম্প্রদায় ও গোত্রের প্রতিনিধিত্বমূলক প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও প্রধান প্রধান মন্ত্রণালয়গুলোতে তালেবানের কট্টরপন্থী এবং অনুগতদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে তালেবান সরকার গঠন করলেও এখনও কোনো দেশই সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর জেরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট প্রতিদিনই খারাপের দিকে যাচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করলেও তা পূরণে গোষ্ঠীটি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) আফগানিস্তানজুড়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে।

টিএম