লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে দু’পক্ষের টানাটানি
লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মাঙ্গুশকে বরাখাস্ত করা হয়েছে। ‘প্রশাসনিক (দায়িত্ব) লঙ্ঘনের’ অভিযোগে তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করে দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল। এমনকি মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্তের পর নাজলা মাঙ্গুশের দেশত্যাগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। লিবিয়ার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানিয়েছেন, বৈদেশিক নীতির বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের কারও সাথেই আলোচনা করেননি নাজলা মাঙ্গুশ। পরে শনিবার তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভভাবে এর বেশি কোনো তথ্য দেনটি ওই মুখপাত্র।
এদিকে প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি নাজলা মাঙ্গুশ। তবে লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় ঐক্যমতের সরকার প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রোববার ভেরে এক বিবৃতিতে নিজেদের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানায় লিবীয় সরকার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমতের সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মাঙ্গুশের কাজের প্রশংসাও করেছে। সরকারের দাবি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নাজলা মাঙ্গুশ দায়িত্বপালন অব্যাহত রাখবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সদস্যদের নিয়োগ বা বরখাস্তের কোনো বৈধ অধিকার নেই প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের। একইসঙ্গে কারও বিরুদ্ধে তদন্তেরও অধিকার নেই তিন সদস্য বিশিষ্ট ওই ক্ষমতাসীন কাউন্সিলের।
এছাড়া কাউকে নিয়োগ বা বরখাস্তের চূড়ান্ত অধিকার কেবল প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
টিএম