নাইজেরিয়ার রাজধানী লাগোসে নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন জরুরি উদ্ধারকর্মীরা। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন সে সংখ্যা কেউ নিশ্চিত করেনি।

নাইজেরিয়ার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ইব্রাহিম ফারিনলোয়ি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ধসে পড়া ভবনটি থেকে আরও কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১৫, জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৯ জনকে। 

এদিকে নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন অনেকে। বোনের খবর জানতে অপেক্ষা করছেন ফাওয়াস সান্নি ও আফোলাবি সান্নি। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়া ফাওয়াস এ সময় বলেন, দুর্ঘটনার সময় আমার বোন ভবনের ভেতরে ছিল।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবনটির নির্মাণাধীন কোম্পানি অনুমোদন নেওয়ার তুলনায় ছয়তল বেশি নির্মাণ করায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

লাগোস স্টেট বিল্ডিং কন্ট্রোল এজেন্সির জেনারেল ম্যানেজার গোবলাহান ওকি জানান, ১৫তলা নির্মাণের অনুমতি নিয়ে ২১তলা করা হয়েছিল। আর ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত সরঞ্জামও মানসম্মত ছিল না।

লাগোসের ইকোয়িতে নির্মাণাধীন ২১তলার ভবনটি স্থানীয় সময় সোমবার (১ নভেম্বর) ধসে পড়ে। ধসের পড়ার ঘটনার পরপরই উদ্ধারকর্মীরা কাজ শুরু করে।

ভবনটির চার নির্মাণ শ্রমিক একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ধসের পড়ার সময় অনেকে এর ভেতরে কাজ করছিলেন। ভবনে অন্তত ৪০ জন ছিলেন, ১০ জনের মরদেহ দেখেছি কারণ আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গিয়েছি, বলেন পিটার আজাবি নামে ২৬ বছর বয়সী ভবনটির এক শ্রমিক। মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন আমার কাছের বলেও জানান তিনি।

দৌড়ে প্রাণ বাঁচানো এরিক টেথি নামে আরেক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, আমি ও আমার ভাই প্রাণে বেঁচে গেছি। তবে ভবনটি ধসে পড়ার সময় অন্তত একশর বেশি শ্রমিক ভেতরে কাজ করছিল।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটিতে প্রায়ই ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। ভবন নির্মাণের নীতিমালা খুব কমই মানা হয় দেশটিতে। এছাড়া ভেজাল ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও প্রায়ই পাওয়া যায়।

সূত্র : আলজাজিরা

জেডএস