ফেসবুকে সাতদিন নিষিদ্ধ তসলিমা নাসরিন
ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিনকে ফেসবুক এক সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। সোমবার সকালের দিকে টুইটারে দেওয়া এক টুইটে তিনি বলেন, সত্য বলায় ফেসবুক আমাকে আবারও এক সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।
তবে কবে থেকে ফেসবুকের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন সেবিষয়ে কিছু জানাননি তসলিমা নাসরিন। সোমবার সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে অপর এক টুইট করেন বাংলাদেশি এই লেখক।
বিজ্ঞাপন
— taslima nasreen (@taslimanasreen) November 1, 2021
টুইটে তিনি বলেন, ‘ইসলামপন্থীরা বাংলাদেশি হিন্দুদের বাড়িঘর এবং মন্দির ভাঙচুর করেছে। তারা বিশ্বাস করেন, হনুমানের কোলে কোরআন রেখেছেন হিন্দুরা। কিন্তু যখন জানা গেল যে হিন্দুরা নয়, ইকবাল হোসাইন এই কাজ করেছেন; তখন ইসলামপন্থীরা নীরব ছিলেন, ইকবালের বিরুদ্ধে তারা কিছু বলেননি। এটা লেখার জন্য ফেসবুক আমাকে নিষিদ্ধ করেছিল।’
আরও পড়ুন : ইউটিউবে ভিডিও দেখে সন্তানের জন্ম দিল কিশোরী!
— taslima nasreen (@taslimanasreen) November 1, 2021
একই দিন দুপুর ১টা ২৭মিনিটে আরেক টুইটে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, ‘হিন্দুরা আজমির শরিফ দরগাহ, নিজামউদ্দিন দরগাহর মতো বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থনা করেন। সালমান খান গণেশ চতুর্থী পালন করেন, শাহরুখ খান সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে প্রার্থনা করেন। এটাই ভারতবর্ষ।’
— taslima nasreen (@taslimanasreen) November 1, 2021
চলতি বছরের ১৬ মার্চেও ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে তসলিমা নাসরিনকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। ২০১৫ সালে একবার তার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে রেখেছিল সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যম। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘন করায় তার অনেক পোস্ট মুছে ফেলে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
এসএস