পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের পর ইসলামাবাদের দিকে যাত্রা টিএলপির
কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে পাঞ্জাব রাজ্যে তাণ্ডব চালানোর পর এবার রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী তেহরিক ই লাব্বায়েক (টিএলপি)। বৃহস্পতিবার গোষ্ঠীটির একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ইসলামাদের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সেগুলো সরিয়ে দেবো।’
বিজ্ঞাপন
টিএলপির প্রধান নেতা সাদ রিজভিসহ শীর্ষ তিন নেতা বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের লাহোর শহরের একটি কারাগারে অন্তরীণ আছেন। তাদের মুক্তির দাবিতে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পাঞ্জাবের বিভিন্ন শহরে সমাবেশ করছে গোষ্ঠীটি।
বুধবার পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা জেলায় সমাবেশ করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় গোষ্ঠীটির কর্মীরা। এতে ৫ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ২৫৩ জন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পাকিস্তানের পুলিশ বাহিনী সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছে, বুধবারের সংঘাতে একে ৪৭, এলএমজি ও পিস্তলের মতো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে টিএলপি কর্মীরা।
এদিকে, টিএলপি কর্মীদের রাজধানী শহরের দিকে যাত্রা শুরু করার খবর ছড়িয়ে পড়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের প্রশাসন। রাজধানী সঙ্গে সংযুক্ত প্রতিটি আন্তজেলা হাইওয়েতে জাহাজের কন্টেইনার দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্য ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্স কর্মীদের সংখ্যাও।
ইসলামাবাদ পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘রাজধানী পুলিশের সহযোগিতা করতে আশপাশের তিন জেলা থেকে পুলিশ সদস্যদের ইসলামাবাদে আনা হয়েছে। তাছাড়া, পর্যাপ্তসংখ্যক রেঞ্জার্স কর্মীও টহল দিচ্ছেন।’
২০১৭ সালের পর এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বড় কর্মসূচি দিল টিএলপি। আগের দুইবার ফ্রান্সের শার্লি হেবদো ম্যাগাজিনে মহানবীর ব্যাঙ্গচিত্র ছাপার জেরে পাকিস্তানে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবিতে দেশজুড়ে সমাবেশ করেছিল গোষ্ঠীটি।
গত দুই সমাবেশে দৃশ্যত নিশ্চুপ থাকলেও এবারের সমাবেশ প্রতিহত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজধানীতে টিএলপির সমাবেশ রুখতে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করবে সরকার।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যথেষ্ট ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছি; কিন্তু সবকিছুরই সীমা আছে। যদি রাষ্ট্রের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়, সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
এসএমডব্লিউ