ঘরে বসে ইউটিউব দেখে সন্তানের জন্ম দিয়েছে ভারতের কেরালার ১৭ বছরের এক কিশোরী। বাড়িতে সদ্যজাত শিশুর জন্ম ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পরিবারের অন্য সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরীর ঘর থেকে শিশুর কান্না শুনে দরজায় কড়া নাড়েন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা দেখতে পান, কিশোরী মেয়ের কোলে শুয়ে কাঁদছে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু। তড়িঘড়ি করে মা ও সন্তানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের কেরালার মলপ্পুরমে। পুলিশ কিশোরীর গর্ভে সন্তানের জন্মদাতা যুবককে গ্রেফতার করেছে। কেরালার মলপ্পুরমে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে ১৭ বছরের ওই কিশোরী। গত এক সপ্তাহ ধরে নিজের ঘর থেকে একেবারেই বেরোয়নি সে।

পরিবারের সদস্যরা বাইরে বের না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কিশোরী জানায়, স্কুলের অনলাইন ক্লাস চলছে। মেয়ের এমন কথায় সন্দেহ হয়নি পেশায় নিরাপত্তারক্ষী বাবা ও দৃষ্টিহীন মায়ের। এভাবেই চলছিল তার সব।

অন্যদিকে, নিজেকে ঘরবন্দি করে প্রসব বেদনায় অস্থির ১৭ বছরের কিশোরী দেখতে থাকে কীভাবে নিজে নিজেই সন্তানের জন্ম দেওয়া যায়। এ কাজে সে বেছে নেয় ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউব। গত ২৪ অক্টোবর ইউটিউবে ভিডিও দেখে শেখা পদ্ধতি অবলম্বন করেই সন্তানের জন্ম দেয় সে।

এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোল বাধে তিন দিন পর, যখন সন্তান কেঁদে ওঠে। পাশের ঘরে মায়ের সন্দেহ হয়, শিশুর চিৎকার আসছে কোথায় থেকে? দরজা ধাক্কা দিতেই স্পষ্ট হয় সব কিছু। শিশু কোলে বসে কিশোরী মা!

দ্রুত মা ও শিশুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে মা ও শিশু, দু’জনই সুস্থ আছে। হাসপাতাল থেকেই খবর যায় পুলিশে। তদন্ত করে পুলিশ ২১ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই যুবক কিশোরীর প্রতিবেশী। দু’জনের মধ্যে অনেকদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

পুলিশ বলছে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কীভাবে নাড়ি কেটে শিশুকে মায়ের শরীরের থেকে আলাদা করতে হয়, কিশোরীকে তা ইউটিউব দেখে শেখার পরামর্শ দিয়েছিল যুবক। আনন্দবাজার।

এসএস