নির্ধারিত সময় পার হলেও দ্বিতীয় ডোজ পাননি ১১ কোটি ভারতীয়
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ভারতে এখনও পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাননি প্রায় ১১ কোটি মানুষ। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাইন।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের ছয় সপ্তাহ অর্থাৎ দেড় মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাননি এমন ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা ৩ কোটি ৯২ লাখেরও বেশি। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পর চার সপ্তাহ থেকে ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৫৭ লাখ।
বিজ্ঞাপন
আর দুই সপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দ্বিতীয় ডোজ পাননি, এমন মানুষের সংখ্যাও ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি। এছাড়া ৩ কোটি ৩৮ লাখেরও বেশি মানুষ রয়েছেন, যারা নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ বা তার কম সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাননি। এদের মধ্যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন উভয় ধরনের টিকাগ্রতীতাই রয়েছেন।
বুধবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও টিকা না পাওয়া নাগরিকরা যেন দ্রুত টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে যান, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্যগুলোকে জানিয়েছেন মাণ্ডব্য।
কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ১২ সপ্তাহ। আর কোভ্যাক্সিনের জন্য সেই ব্যবধান ৪ সপ্তাহ। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, বিশেষ করে কোনো ব্যক্তি ভাইরাসে সংক্রমিত হলে তা যেন ভয়াবহ আকার না নেয় সেটি নিশ্চিত করতেই এই টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও এত বিশাল সংখ্যক মানুষ টিকা না পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং বিহারে টিকার দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নির্ধারিত সময়ে দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া ব্যক্তিদের ৪৯ শতাংশই এই পাঁচটি রাজ্যের।
টিএম