সুন্দরবনের মধুর জিআই স্বত্ব চায় ভারতের দুই রাজ্য
সুন্দরবনের মধুর জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগলিক নির্দেশক স্বত্ব চায় ভারতের দুই রাজ্য। প্রথমে পুনের একটি সংস্থা সুন্দরবনের মধুর জিআই দাবি করে আবেদন করে। পরে পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর জিআই স্বত্ব দাবি করে পাল্টা আবেদন জানিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এসব নথিপত্র খতিয়ে দেখছে চেন্নাইয়ের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস কর্তৃপক্ষ।
প্রথমে সুন্দরবনের মধুর জিআই দাবি করে পুনের একটি সংস্থা। এরপর পাল্টা আবেদন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুযারিতে সুন্দরবনের মধুর জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনসের স্বত্ব চেয়ে আবেদন জানায় পুনের ওই সংস্থা। মধুর জিআিই পাওয়া গেলে এর ব্যবসা বা রফতানিতে বড় সুযোগ পাবে পুনের ওই সংস্থা।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুর রয়েছে বিশেষ খ্যাতি আর চাহিদা। ফলে ব্যবসায় লাভ যে প্রচুর হতে পারে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই কৌশলে সুন্দরবনের ঠিকানায় নতুন একটি সংস্থা তৈরি করে সুন্দরবনের মধুর জিআই পেতে আবেদন জানায় পুনের ওই বেসরকারি সংস্থা। পরে একগুছ প্রমাণপত্রসহ সুন্দরবনের বেশ কয়েকজন মৌয়াল (মধু সংগ্রহকারী) অভিযোগ জানায় পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের আওতায় থাকা পেটেন্ট ইনফর্মেশন সেন্টারে।
পশ্চিমবঙ্গের কোনো পণ্যের জিআইয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হিসেবে নিযুক্ত রাজ্য সরকারের এই পেটেন্ট ইনফর্মেশন সেন্টার। তারপর জুন-জুলাই মাস নাগাদ সুন্দরবনের মধুর জিআই স্বত্ব পেতে আবেদন জানায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর। একই সঙ্গে সুন্দরবনের মধুর জিআই স্বত্ব দাবি করার ক্ষেত্রে পুনের ওই বেসরকারি সংস্থার আবেদনের বিরোধিতাও করা হয়।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের আওতাধীন পেটেন্ট ইনফর্মেশন সেন্টারের বিজ্ঞানী গবেষক ডা. মহুয়া হোম চৌধুরী জানান, পুনের ওই বেসরকারি সংস্থার দাবি অন্যায্য। উপযুক্ত সব নথিপত্রসহ জুন-জুলাই নাগাদ সুন্দরবনের মধুর জিআই স্বত্ব চেয়ে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। আপাতত রাজ্যের দেওয়া সব নথিপত্র খতিয়ে দেখছে চেন্নাইয়ের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস কর্তৃপক্ষ। তাদের মতামত জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ওএফ