প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম অংশে প্রথমবারের মতো যুদ্ধজাহাজের যৌথ টহল পরিচালনা করেছে রাশিয়া এবং চীন। গত ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে শনিবার (২৩ অক্টোবর) পর্যন্ত এই টহল অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে জাপান সাগরে মস্কো এবং বেইজিং সহযোগিতামূলক নৌ মহড়া চালিয়েছিল। এমন এক সময় সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে চীন এবং রাশিয়া; যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে।

প্রশান্ত মহাসাগরে চীন-রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের টহল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাপান। এর আগে, গত সপ্তাহে টোকিও জানায়, জাপানের মূল ভূখণ্ড এবং উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোকে পৃথককারী সুগারু প্রণালী অতিক্রম করেছে চীন এবং রাশিয়ার নৌবাহিনীর ১০টি জাহাজ

দেশটির উপপ্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিকো ইসোজাকি বলেন, ‌‘সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে জাপানের আশপাশে চীনা এবং রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জাপানের জলপথ ও আকাশসীমায় আমাদের নজরদারির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টহলের অংশ হিসাবে প্রথমবারের মতো সুগারু প্রণালী দিয়ে গেছে ওই ১০টি জাহাজ। সুগারু প্রণালীতে চীন এবং রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ একসঙ্গে চলাচলের বিষয়টি প্রথমবার নিশ্চিত করে জাপান। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে জাপান সাগরকে পৃথক করেছে এই প্রণালী।

প্রণালীটি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসাবে বিবেচনা করা হলেও পূর্ব চীন সাগরের কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে চীনের সঙ্গে জাপানের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। মস্কোর সঙ্গেও টোকিওর আঞ্চলিক বিরোধ রয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, টহল দলের কাজ ছিল রুশ-চীনা রাষ্ট্রীয় পতাকার প্রদর্শন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং দুই দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের তত্ত্বাবধান বজায় রাখা।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস