চলন্ত বিমান থেকে মানুষের তরল বর্জ্য পড়ল তার মাথায়
যুক্তরাজ্যে চলন্ত বিমান থেকে মানুষের তরল বর্জ্য দেশটির উইন্ডসরের এক বাসিন্দার শরীরে ও তার বাগানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। বাগানের মালিকের শরীরে মানব বর্জ্য পড়ার এই ঘটনা গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের দিকে ঘটলেও গণমাধ্যমে এসেছে সম্প্রতি। এই ঘটনাটি স্থানীয় কাউন্সিলর কারেন ডেভিস সেখানকার বিমান পরিবহন ফোরাম রয়্যাল বোরো অব উইন্ডসর এবং মেইডেনহেডের দৃষ্টিতে আনার পর সেটি গণমাধ্যমে আসে।
কাউন্সিলর কারেন ডেভিস বলেছেন, একটি চলন্ত বিমান থেকে ফেলা মানব বর্জ্য ওই ব্যক্তির শরীর, পুরো বাগান এবং বাগানের ছাতার ওপর ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমি জানি প্রত্যেক বছর বিমান থেকে শক্ত মানব বর্জ্য পড়ার বেশ কিছু ঘটনা ঘটে। কিন্তু এবারে একেবারে তরল বর্জ্য পড়েছে। ওই ব্যক্তির পুরো বাগানে বিশ্রীভাবে মানুষের বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে।
‘তিনি তখন বাগানে হাঁটছিলেন। এটি সত্যিই ভয়ঙ্কর, ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতা।’
বিমানে সাধারণত সব ধরনের বর্জ্য এবং মানুষের মলমূত্র বিশেষ ট্যাঙ্কে সংগ্রহ করা হয়। বিমান অবতরণের পর সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়। তরল বর্জ্যের ব্যাখ্যায় এটন অ্যান্ড ক্যাসেলের কাউন্সিলর জন বাউডেন বলেছেন, এ ঘটনায় উষ্ণ আবহাওয়ার হাত থাকতে পারে। যার ফলে মলমূত্র হিমায়িত হওয়ার পরিবর্তে আরও তরল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরে ৪০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকা হুইটফিল্ড প্যারিসের কাউন্সিলর জিওফ প্যাক্সটন ওই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত বিরল’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের নীল বরফে (হিমায়িত মানব বর্জ্য এবং জীবাণুনাশক) সমস্যা হতো। টয়লেট লিক হয়ে যাওয়ার কারণে এটা হয়। কিন্তু আধুনিক বিমানে এই ব্যবস্থা আরও বেশি সুরক্ষিত।
মার্কিন ম্যাগাজিন নিউজউইক বলছে, এ ঘটনার জন্য দায়ী বিমান সংস্থার নাম প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি যার শরীরে এবং বাগানে মানব বর্জ্য পড়ার এই ঘটনা ঘটেছে তিনিও সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে বীমা দাবি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ডেভিস বলেছেন, ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা প্রাথমিকভাবে ওই এলাকায় সেই সময় বিমান থাকার তথ্য অস্বীকার করেছে। কিন্তু বিমানের অবস্থান শনাক্তকারী একটি অ্যাপের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হওয়ার পর ঘটনাটি স্বীকার করে ওই এয়ারলাইন্স।
সূত্র: নিউজউইক।
এসএস