২০১৯ সালের পর ফের সাবমেরিন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা কেসিএনএ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তার আগের দিন মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, পূর্ব সাগরে জাপান উপকূলের কাছে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, ব্যালেস্টিক এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম এবং এটি সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার ওপরে উঠতে পারে।

বুধবারের প্রতিবেদনে কেসিএনএ জানিয়েছে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘উন্নত নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা প্রযুক্তি’ সমৃদ্ধ।

গত কয়েক সপ্তাহে কয়েক দফায় পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এসব পরীক্ষার মধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ অমান্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পারমাণবিক অস্ত্রের মতো ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও উৎক্ষেপণের ওপরও উত্তর কোরিয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জাতিসংঘের। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা আমলে না নিয়ে সম্প্রতি কয়েক দফা ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। 

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্রবন্দর সিনপো বন্দর থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। পূর্ব সাগর উপকূলের এই বন্দরটি উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিনের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। পূর্ব সাগরের অপর নাম জাপান সাগর।

যে এলাকায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপন হয়েছে, তার অল্প দূর থেকে জাপানের জলসীমার শুরু। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই ঘটনাকে ‘খুবই আপত্তিজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- এতে ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা কঠিন হয় এবং লক্ষ্যবস্তুর অনেক কাছে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। ২০১৯ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে সাবমেরিন থেকে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়েছিল উত্তর কোরিয়া, তার পুগুকসং ২। ২০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে পুগুকসং ২-এর।

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার সংগ্রহে বিভিন্ন পাল্লার সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে দূরপাল্লারটির নাম হোয়াসং ১৫। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

এসএমডব্লিউ