বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উৎসবের মৌসুমে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পুলিশ-প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রাজ্যের সব পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, রেলের ডিজিপিসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদেরও চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

দুর্গাপূজার মধ্যে বাংলাদেশে একাধিক স্থানে হামলা সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নোয়াখালীতে ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ইসকনের পক্ষ থেকে তাদের ৩ ভক্তের মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়।

হামলার প্রতিবাদে গত রোববার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ইসকনের কলকাতা শাখা। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইসকন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র এই নিন্দা জানান বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই ও সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওই মুখপাত্র জানান, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিটি মানুষের অধিকার। বিশ্বের সকল মানুষের নিরাপদে নিজেদের উৎসব পালনের অধিকার রয়েছে। বিগত দিনে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’

এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাছে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দুদের নেতা প্রাণেশ হালদার। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চলা নির্যাতন জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছেও আবেদন জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা করে একদল মানুষ। এর জেরে কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ, মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িতে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

টিএম