আদালতের দেওয়া রায় অনুযায়ী কারাভোগের সময় শেষ হওয়ার পরও চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। এই ব্যক্তি এখন কোথায় আছেন, সেটা সম্পর্কেও কিছু জানতে পারছে না তার পরিবার। রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।   

ঠিক কী কারণে ইলহাম ইমিনজান নামের ওই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সেটাও পরিষ্কার নয়। ১৫ বছর কারাভোগ শেষে চলতি বছরের ২২ জুন তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। 

ইলহামরা মোট পাঁচ ভাই, তাদের মধ্যে চারজনকেই রাখা হয়েছে কারাগারে। 

ইলহামের পরিবার ভেবেছিল ২২ জুন সে বাসায় ফিরে আসবে। কিন্তু সে আসেনি। আবার তার কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, এমন কোনো নোটিশও পাঠানো হয়নি পরিবারের কাছে।   

২১ বছর বয়সে ইলহামকে কারাগারে পাঠায় চীনা কর্তৃপক্ষ। জীবনের সবচেয়ে সোনালী সময়টা তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। চীনের জিনজিয়াংয়ের বাসিন্দা ইলহামের পরিবার চেয়েছিল, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার বিয়ে দেওয়া হবে। 

বেইজিংয়ের অধীনে থাকা জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (এক্সইউএআর) প্রচণ্ড রকমের বৈষম্যের স্বীকার উইঘুররা। চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মচর্চার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। পাশপাশি তাদের মুখের ভাষাও কেড়ে নিতে চায় চীনা কর্তৃপক্ষ। 

২০১৭ সাল থেকে চীনের কয়েকটি বন্দিশিবিরে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় ১৮ লাখ জনকে আটকে রাখা হয়েছে।  

উইঘুর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হলেও তাতে খুব একটা কর্ণপাত করেনি চীন।  

সূত্র : রেডিও ফ্রি এশিয়া ও এএনআই

এনএফ