দীর্ঘমেয়াদে কোভিড-১৯ এর সাথে কীভাবে বসবাস করা যায়; সে বিষয়ে কৌশল নির্ধারণে বিতর্ক করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া একটি প্যানেল গঠন করেছে। টিকাদানের মাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার এবং দেশের অর্থনীতি পুনরায় চালুর আকাঙ্ক্ষায় বুধবার এই প্যানেল গঠন করা হয়েছে। 

এই কৌশলের আওতায় দেশটির সরকার টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন; এমন নাগরিকদের জন্য করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধ শিথিলের লক্ষ্য ঠিক করেছে। গত সপ্তাহে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনার অ্যাসিম্পটোমেটিক এবং মৃদু উপসর্গে আক্রান্তদের ৭০ শতাংশ বাসাতেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলে আশার কথা জানায়।

দেশটির সংবাদসংস্থা ইয়োনহাপ বলেছে, দৈনিক নতুন আক্রান্তের পরিবর্তে দেশের সরকার এখন হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যার দিকে মনোযোগ দেবে। এমনকি করোনায় দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুর তথ্যও আর প্রকাশ করবে না সরকার।

বুধবার ওই প্যানেলের প্রথম কমিটি বৈঠকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিম বু-কিয়াম বলেছেন, ‌‘আমরা করোনাকে একটি নিয়ন্ত্রিত সংক্রামক ব্যাধিতে পরিণত করব এবং এটি নিয়ে অজানা কোনও ভয় থাকবে না। নাগরিকদের একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনধারা ফিরিয়ে দেব।’

তবে নতুন নীতি অনুযায়ী, নাগরিকদের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় কখনোই পুরোপুরি লকডাউন জারি করা হয়নি। তবে গত বছরের জুলাই থেকেই দেশটিতে কঠোর সামাজিক দূরত্ব বিধি পালনের নিয়ম চালু আছে।

দেশটি এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ৭৮ দশমিক ১ শতাংশকে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার কমপক্ষে এক ডোজ এবং ৬০ দশমিক ৭ শতাংশকে পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় মঙ্গলবারও করোনায় এক হাজার ৫৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪২ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৬০৫ জন।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস