ভারতে শিশু-অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অনুমোদন পেল কোভ্যাক্সিন
ভারতে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। দেশটির জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি প্রতিরোধে ভারত সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞদের প্যানেল সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি) মঙ্গলবার দেশের ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এখন বাকি আছে ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রন সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিজিসিআই) অনুমোদন। এটি হয়ে গেলেই দেশটির শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকাদানে ব্যবহার করা শুরু হবে কোভ্যাক্সিনের ডোজ। তবে আশা করা হচ্ছে, ডিজিসিআইও দ্রুত এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবে।
ভারতে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রথম যে করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছিল ডিজিসিআই, তার নাম জাইডাস ক্যাডিলা। এটি একটি ডিএনএ প্রোটিনভিত্তিক টিকা, অর্থাৎ এই টিকা প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয়েছে এমন একটি রাসায়নিক, যা মানবদেহে প্রবেশ করে করোনা প্রতিরোধী প্রোটিন গড়ে তোলে।
অন্যদিকে, কোভ্যাক্সিন টিকা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বৈজ্ঞানিকভাবে রূপান্তরিত করোনাভাইরাস, যা মানবদেহে প্রবেশ করলে শরীর অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে করোনা প্রতিরোধী শক্তি গড়ে তোলে।
এই টিকাটি প্রস্তুত করেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদভিত্তিক ওষুধ ও টিকাপ্রস্তুতকারী কোম্পানি ভারত বায়োটেক। গত ৩ জানুয়ারি জরুরি প্রয়োজনে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ডিসিজিআইয়ের অনুমোদন পায় কোভ্যাক্সিন।
ভারত বায়োটেকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার জন্য এ পর্যন্ত বয়সভিত্তিক তিনটি ট্রায়াল পরিচালনা করেছে কোম্পানি। প্রথম ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়েছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে, দ্বিতীয় ট্রায়াল ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের মধ্যে এবং তৃতীয় ট্রায়াল পরিচালিত হয়েছে ২ থেকে ৬ বছর বয়সীদের মধ্যে।
যে বিশেষজ্ঞ প্যানেল এসব ট্রায়ালের ফলাফল পর্যালোচনা করেছেন, তাদের মধ্যে ভারতের চিকিৎসা বিষয়ক সর্বোচ্চ সরকারি প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএস) কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক সঞ্জয় কে রায়ও ছিলেন। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের ফলাফল সন্তোষজনক।’
এসএমডব্লিউ