ভারতের ভ্রমণ ভিসা পাবেন না যারা
বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই ঘোষণা করেছে ভারত। ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আগামী শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) থেকে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতে ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুক পর্যটকরা স্থলসীমান্ত বা সড়কপথে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
সোমবার জারি করা হালনাগাদ নির্দেশনায় এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিজ্ঞাপন
করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আবার পর্যটন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে ভারত। দিন দুয়েক আগে এই ঘোষণা দেওয়ার সময় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বিদেশিদের নতুন করে পর্যটন ভিসা দেওয়া শুরু হবে। তবে যারা চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ভারতে যাবেন তাদের আগামী ১৫ অক্টোবর থেকেই ভিসা দেওয়া হবে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত রয়েছে এমন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আপাতত ভারতে প্রবেশ করা যাবে না। এছাড়া পর্যটন ভিসা চালু হলেও এখন কেবল সিঙ্গেল এন্ট্রির (এক বার প্রবেশ করা যাবে) এবং সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদী ভিসা ইস্যু করা হবে বলেও সর্বশেষ ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
ভ্রমণ ভিসা নিয়ে স্থল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় প্রতিবেশী দেশগুলোর পর্যটকদেরকে আকাশপথে ও সমুদ্রপথে ভারতে প্রবেশ করতে হবে। ভারতের সঙ্গে চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান ও মিয়ানমারের স্থল সীমান্ত রয়েছে।
এছাড়া ভ্রমণ ভিসায় ভারতে যেতে হলে পর্যটকদের নতুন করে ফের আবেদন করতে হবে। আগের অব্যবহৃত বা পূর্বে ইস্যু করা যেসব ভিসার এখনও মেয়াদ রয়েছে সেগুলো আপাতত স্থগিতই থাকবে।
এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ভারতে ভ্রমণকারী ৫ লাখ পর্যটককে বিনামূল্যে ভিসা দেওয়া হতে পারে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই ভিসার মেয়াদ আগামী বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত করা হতে পারে। প্রথম দফায় প্রায় পাঁচ লাখ ভিসা ইস্যু করতে ভারত সরকারের মোট ১০০ কোটি রুপি ব্যয় হতে পারে বলেও সেসময় জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আকাশপথে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে উভয় দেশের মধ্যে সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট চলাচল করবে। সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য জানানো হয়।
হাইকমিশন জানায়, ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে এয়ার বাবল ব্যবস্থার অধীনে ফ্লাইটের সংখ্যা প্রতি সপ্তাহে সাতটি থেকে ২১টিতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
টিএম