হিন্দু যুবক-যুবতীদের ধর্মান্তরণ রোধে পরিবারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, বিয়ের কারণে অনেক হিন্দু যুবক-যুবতী নিজের ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্ম গ্রহণ করছেন, যা অনুচিত। যারা এটা করছেন, তারা ভুল করছেন।

ভারতের উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে এক অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান এসব কথা বলেন। তিনি সঙ্ঘকর্মীদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার উপরে জোর দেন।

তিনি বলেন, বিয়ের জন্য নিজের ধর্ম ছেড়ে ছেলেমেয়েরা অন্য ধর্ম গ্রহণ করছেন, যা ঠিক নয়। ছোটদের মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। বোঝাতে হবে, কেবল বিয়ের মতো ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য অন্য ধর্ম গ্রহণ করা ভুল। নিজের ধর্ম, ঐতিহ্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন পিতামাতারা। সেই কারণে বিয়ের মতো কারণে ধর্ম পরিবর্তন ঘটছে। বাড়িতেই দিতে হবে ধর্ম ও সংস্কারের শিক্ষা।

এদিন নারী-পুরুষের সমানাধিকারের বাস্তবায়নে সরব হন সঙ্ঘ-প্রধান। যদিও কিছুদিন আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সঙ্ঘকে পুরুষশাসিত সংগঠন আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। সেই অভিযোগ যে অনেকাংশ সত্যি, এদিন তা মেনেও নিয়েছিলেন ভাগবত।

তিনি বলেন, সঙ্ঘের যেকোনো সাংগঠনিক সভায় পুরুষদের তুলনায় মহিলা প্রতিনিধিদের সংখ্যা থাকে একেবারে কম। এই চিত্র পাল্টানোর ওপর জোর দেন সঙ্ঘ-প্রধান। তিনি বলেন, আরএসএসের লক্ষ্য, হিন্দু সমাজকে শক্তিশালী করা। এ কাজে পুরুষ-নারী উভয়ের সমান যোগদান প্রয়োজন।

মানুষে-মানুষে যেনো কোনো পার্থক্য না থাকে, তা নিশ্চিত করতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। ভাগবত বলেন, মানুষে-মানুষে পার্থক্য রয়েছে, এই বোধ মন থেকে মুছে ফেলতে হবে। তবেই দেশ তথা হিন্দু সমাজের জাগরণ সম্ভব হবে।

এমএইচএস