এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গোপনে তাইওয়ানের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর স্পেশাল অপারেশনস ফোর্সেস এবং মেরিন সেনারা অত্যন্ত গোপনে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটি করছেন। যা চীনের ক্ষোভ বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে প্রভাবশালী মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যেই তাইওয়ানের মাটিতেই তাদের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে প্রায় দুই ডজন মার্কিন সেনা। ‘অন্তত গত এক বছর ধরে’ অত্যন্ত গোপনে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।

প্রতিবেদনে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতিও যুক্ত করা হয়। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’র এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটির তথ্য নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন সাপল বলছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রয়োজনীয়তা পরিমাপ করেই দেশটির সামরিক বাহিনীকে সহায়তা দিয়ে থাকে যুত্তরাষ্ট্র।

এক বিবৃতিতে সাপল বলছেন, ‘তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের বর্তমান হুমকি মোকাবিলায় দেশটিতে আমাদের সহায়তা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। আর তাই সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় করা প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান দেখাতে আমরা বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

অবশ্য তাইওয়ানের স্থল ও নৌবাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণের বিষয়টি গত বছরের নভেম্বরে ছোট এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির সংবাদমাধ্যমেও উঠে এসেছিল। সেসময় তাইওয়ানের নেভাল কমান্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে সেখানকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল যে, তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর স্পেশাল ফোর্স এবং নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে ছোট ছোট নৌকা ও উভচর বাহনে করে দেশটিতে পৌঁছেছে মার্কিন সেনারা।

তবে এসব রিপোর্ট সেসময় প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কর্মকর্তারা।

টিএম