অ্যাস্ট্রাজেনেকা পৌঁছে গেল অ্যান্টার্কটিকায়
বিশ্বজুড়ে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার শুরুর ৯ মাস পর দক্ষিণ মেরুর মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরফাচ্ছাদিত এই মহাদেশে যুক্তরাজ্যের গবেষণা কেন্দ্র ব্রিটিশ রোথেরা রিসার্চ স্টেশনে কর্মরত ২৩ কর্মীকে করোনা টিকা দেওয়ার জন্য অ্যান্টারর্কটিকায় পাঠানো হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সাম্প্রতিক এই চালান।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাজ্যের ব্রিজ নর্টন বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে ১০ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গলবার অ্যান্টার্কটিকার বিমানবন্দরে পৌঁছেছে টিকার চালানবাহী ব্রিটিশ রয়্যাল ফোর্সের ভয়জার বিমানটি। যাত্রাপথে সেনেগাল ও ফাল্কল্যান্ডে যাত্রাবিরতি নিয়েছিলেন পাইলটরা।
সেখান থেকে একটি ছোট টুইন ওটার উড়োজাহাজে করে টিকাগুলো পৌঁছানো হয় রোথেরা গবেষণা কেন্দ্রে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে গবেষণা কেন্দ্রের কর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।
অ্যান্টার্কটিকায় সেই অর্থে কোনো জনবসতি নেই। তবে মহাদেশটিতে বিভিন্ন দেশের গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
এর আগে অ্যান্টার্কটিকায় চিলির গবেষণা কেন্দ্রে কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। তবে তারপর সেখানে আরো কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন- এমন খবর পাওয়া যায়নি।
চলতি বছর মার্চ থেকে ‘লকডাউনে’ আছেন অ্যান্টার্কটিকায় কর্মরত ব্রিটিশ কর্মীরা। করোনা মহামারি তার একটি কারণ, অপর কারণটি হলো মহাদেশের দীর্ঘ ও বৈরী শীত। তবে চলতি অক্টোবর থেকে সেই লকডাউন শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোথেরা গবেষণা কেন্দ্রটি যে সংস্থার অন্তর্ভূক্ত সেই ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের হেড অব অপারেশন্স জন এগার বিবিসিকে বলেন, ‘যারা বাড়ি ফিরতে চান, তারা আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ফ্লাইট ধরতে পারবেন। আমরা চাইছি, বাড়ি ফেরার আগে টিকার অন্তত একটি ডোজ যেন তারা গ্রহণ করেন।’
এসএমডব্লিউ