আসলে কোনও মাদকই মেলেনি বলিউড অভিনেতা শাখরুখ খানের পুত্র আরিয়ানের কাছে!‌ মহারাষ্ট্র আর মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নাম খারাপ করার জন্যই এসব করছে এনসিবি। নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ করলেন এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। 

তার কথায়, এসবই ষড়যন্ত্র। তবে মালিকের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি ও এনসিবি। মালিক যদিও বদ্ধপরিকর। রীতিমতো তথ্যপ্রমাণ নিয়েই মাঠে নামলেন। সাংবাদ সম্মেলনে বললেন, আটক হওয়ার পর আরিয়ান খান এবং তার সঙ্গী আরবাজ মার্চেন্টকে যে দুজন ধরে আনছিলেন, তার এনসিবির অফিসার নন। এক জন বিজেপি কর্মী ও অন্যজন প্রাইভেট গোয়েন্দা। 

একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, আরিয়ানকে ধরে এনসিবি অফিসে নিয়ে আসছেন কে পি গোসাওয়ি। তিনি আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলে ইতোমধ্যেই ভাইরাল। এনসিবি তখনই জানিয়ে দেয়, এই গোসাওয়ি তাদের কর্মী নন। তাহলে কে?‌ নবাব মালিক জানালেন, গোসাওয়ি হলেন প্রাইভেট গোয়েন্দা।

আরবাজকে ধরেছিলেন মণীশ ভানুশালী। তিনি বিজেপি কর্মী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে ছবি রয়েছে মণীশের। মালিকের প্রশ্ন, এ রকম হাইপ্রোফাইল আটকদের কীভাবে বাইরের লোক ধরে আনে?‌ এতে নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারত। 

মালিক স্পষ্ট জানালেন, ‘‌বিজেপির বিরুদ্ধে যারা আছেন, তাদের কলঙ্কিত করতে এনসিবিকে ব্যবহার করছে।’‌ সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি।

জবাবে এনসিবি জানিয়েছে, মণীশ ভানুশালী ও গোসাওয়ি প্রমোদতরী তল্লাশি অভিযানের অন্যতম সাক্ষী। মোট ৯ জন সাক্ষী ছিলেন সেখানে। এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং বললেন, ‘‌এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারও সমস্যা থাকলে তিনি আদালতে যেতে পারেন।’‌ 

মহারাষ্ট্রের বিজেপি মুখপাত্র কেশব উপাধ্যায় বলেন, ‘‌এনসিপি আগে স্পষ্ট করুক, মাদক মাফিয়াদের বিরুদ্ধে এই অভিযানকে তারা সমর্থন করে, নাকি বিরোধিতা।’‌

ওএফ