সংগ্রহে থাকা পারমাণবিক বোমার মজুত কমাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই নীতি মেনে চলছে দেশটি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করে এই তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওয়াবসাইটে বলা হয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহে আছে ৩ হাজার ৭৫০ টি পারমাণবিক বোমা। 

ওয়েবসাইটটিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহে এই পরিমাণ পারমাণবিক বোমা ছিল। ২০০৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি।

দেশটির সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক বোমা ছিল শীতল যুদ্ধের সময়, ১৯৬৭ সালে। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহে থাকা মোট বোমার সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ২৫৫ টি।

১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২২ হাজার ২১৭টি পরমাণু অস্ত্র ছিল বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা তথ্যে জানা গেছে।

সবশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পরমাণু অস্ত্রের তথ্য জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারপর থেকে এমন তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি দেশটির পরমাণু বিজ্ঞানীদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ অ্যামেরিকান সায়েন্টিস্টসের' অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার আবার তথ্য প্রকাশ শুরু হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন ফেডারেশন অফ অ্যামেরিকান সায়েন্টিস্টসের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক হান্স ক্রিস্টেনসেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘স্বচ্ছতায় ফেরা।’

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনাও বন্ধ রেখেছিলেন ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসন আবার তা শুরু করতে চাইছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার পরমাণু অস্ত্রের তথ্য প্রকাশ করে যু্ক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া পরমাণু অস্ত্রগুলোর অবস্থা এবং এ সংক্রান্ত নীতি পর্যালোচনাও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন৷ আগামী বছরের শুরুর দিকে তা শেষ হওয়ার কথা।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন: গণবিধ্বংসী অস্ত্রের হুমকি কমিয়ে এক পর্যায়ে তা শেষ করার নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।’

এসএমডব্লিউ