কয়লা সংকটে ভারতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সংকটের কারণে ভারতে বিদ্যুৎ সংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে দিন চারেক পরই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ সংকট শুরু হতে পারে বলে একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের পর দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। দেশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা খুলছে। ফলে হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। গতবছর এই সময় যা বিদ্যুতের চাহিদা ছিল এই মুহূর্তে বিদ্যুতের চাহিদা তার ৭০ শতাংশ বেশি। বিভিন্ন কারণে এই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কয়লা সরবরাহ করতে অসুবিধা হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কয়লা সরবরাহের এই সমস্যায় ভুগছে দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টি এবং ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের বন্যা পরিস্থিতি কয়লা সংকট আরও বাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক যে, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে মাত্র চারদিনের কয়লা মজুত আছে। এই মুহূর্তে দেশের অর্ধেকের বেশি কয়লা খনিকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
তবে এই পরিস্থিতিকে বিদ্যুৎ সংকট বলতে রাজি নন কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রী আরকে সিং। তার বক্তব্য, এটা বিদ্যুৎ সংকট নয়। আমরা দেশের চাহিদা পূরণ করছি। কিন্তু চাহিদা বেড়েই চলেছে। যেমন- সোমবার দেশে বিদ্যুতের চাহিদা গতবছরের এই দিনের তুলনায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট বেশি ছিল।
শক্তিমন্ত্রী বলছেন, আমরা কয়লা সরবরাহের বিষয়টিতে নজর রাখছি। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। কারণ প্রতিদিন কয়লা তোলা হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিদিন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। একটা বড় সমস্যা হলো ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে বৃষ্টি। যার ফলে কয়লা উত্তোলনে সমস্যা হচ্ছে। তবে, আমরা সমস্যাটা ঠিকভাবেই মেটাচ্ছি। আশা করছি সব ঠিক থাকবে।
এইচকে