ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ও রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি এলাকার কৃষকরা। অভিযোগ উঠে, বিক্ষোভ চলাকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছেলে আকাশ মিশ্রর গাড়ি দুই কৃষককে পিষে দেয়। কিন্তু সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন অজয়। সোমবার (৪ অক্টোবর) রাতে ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করে কংগ্রেস। সেখানে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের পিষে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কনভয়ের গাড়ি।

কংগ্রেসের টুইট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বেশ কয়েকজন। হঠাৎ একটি জিপ এসে তাদের ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় সাদা জামা ও সবুজ পাগড়ি পরা এক ব্যক্তি জিপের বনেটে গিয়ে পড়েন। আরও কয়েকজন প্রাণ বাঁচাতে রাস্তার পাশে ঝাঁপ দেন। জিপ বেরিয়ে যাওয়ার পর তার ঠিক পেছনে আরও একটি গাড়ি চলে যায়। তারপরই দেখা যায় রাস্তার উপরে বেশ কয়েকজন পড়ে রয়েছেন। তাদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন অন্যরা। যদিও এ ভিডিওর সত্যতা  যাচাই করা যায়নি।

রোববারের এ ঘটনার পরে আকাশসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছে পুলিশ। ভারতের হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। যদিও সংঘর্ষের ঘটনায় ছেলে যুক্ত নয় বলেই দাবি করেছেন মন্ত্রী। অজয় বলেন, ‘আমার ছেলে ঘটনার সময় সেখানে ছিল না। ওর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই মিথ্যা।’

তার আরও দাবি, দুর্ঘটনায় নিহত আট জনের মধ্যে রয়েছেন তার গাড়ির চালক এবং বিজেপির তিন কর্মী। এ চার জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অজয় বলেন, ‘আমার চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতকারীরা পাথর ছুড়লে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং দুই কৃষক গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। এরপর তিন বিজেপি কর্মী এবং চালককে পিটিয়ে মারা হয় এবং গাড়িতে আগুন লাগানো হয়।

ঘটনার জেরে ইতোমধ্যেই লখিমপুর ও লখনউয়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব লখিমপুরে গিয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব লখিমপুর যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করে পুলিশ।

সূত্র: আনন্দবাজার

এসএসএইচ