ইরান এবং তুরস্কের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আঞ্চলিক চিরবৈরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছে আমিরাত; যাতে এই অঞ্চলে নতুন কোনও সংঘাত এড়ানো যায়। শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।

আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি রক্ষার অনিশ্চয়তা এবং ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের ‌‘শীতল যুদ্ধ’ নিয়ে উদ্বেগ আছে।

উপসাগরীয় অঞ্চলের যেসব দেশের সাথে চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে, সেসব দেশ আবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ছাতার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এসব দেশ ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে বৈশ্বিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের আলোচনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার এবং তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার দিকেও নজর রাখছে তারা।

আনোয়ার গারগাশ বলেন, ‘আমরা আগামীতে এই অঞ্চলে আমেরিকার পদাঙ্কের বিষয়ে আসলে কী চলছে সেটি দেখবো। আমি মনে করি না যে, আমরা এখনও এটি জানতে পেরেছি। তবে আফগানিস্তান অবশ্যই একটি পরীক্ষা এবং সত্যি বলতে এটি খুবই উদ্বেগজনক পরীক্ষা।

তিনি বলেন, আমাদের যা করতে হবে তার একটি অংশ হলো— আমাদের এই অঞ্চলকে আরও ভালো উপায়ে পরিচালনা করা। এখানে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে এবং যেখানে শূন্যতা তৈরি হয়, সেখানে সমস্যাও হয়। অ-আরব ইরান এবং তুরস্কের সাথে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাসে ভূমিকা রাখছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আমিরাতের প্রেসিডেন্টের এই উপদেষ্টা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি অরাজনৈতিক কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকারের তালিকায় সামনে এনেছে। এটি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনকে নিয়ে প্রধান উদ্বেগে রূপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি আসন্ন শীতল যুদ্ধের ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এটি আমাদের সবার জন্য খারাপ খবর। কারণ বাছাইয়ের ধারণাটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাতেই ত্রুটিপূর্ণ এবং আমি মনে করি এটি সহজ কোনও যাত্রা হবে না।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস