এবার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে উত্তর কোরিয়া। কখনও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কখনও ক্রুজ মিসাইল, কখনও বা আবার শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলতে সক্ষম হাইপারসনিক মিসাইল। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নতুন করে পরীক্ষামূলকভাবে একটি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এটি নিয়ে এক মাসে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে ছুড়ল পিয়ংইয়ং।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত মঙ্গলবার নতুন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা জানায় উত্তর কোরিয়া। হোয়াসং-৮ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে ছুটতে পারে এবং বায়ুমন্ডলের মধ্যে চলমান অবস্থাতেও গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলছেন, উত্তর কোরিয়ার এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা কোরীয় উপদ্বীপে আরও অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করবে। তবে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই উত্তর কোরিযার অত্যাধুনিক অস্ত্র দরকার বলে মন্তব্য করেছে পিয়ংইয়ং।
আর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সর্বশেষ এই ঘটনার মধ্য দিয়ে এটি পরিষ্কার যে, জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ ও বিধিনিষেধের কারণে উত্তর কোরিয়া তাদের অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করবে না।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, বিমান বিধ্বংসী নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘উল্লেখযোগ্য সামরিক সক্ষমতা’ দেখিয়েছে এবং এতে দেশের প্রধান সামরিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কড়া নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ সত্ত্বেও একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। বিধিনিষেধের মধ্যেও পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র প্রযুক্তি ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবারের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা সেটিরই ইঙ্গিত।
এর আগে গত মঙ্গলবার নিক্ষেপ করা নতুন হাইপারসনিক মিসাইলকে দেশের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি’ অস্ত্রের একটি বলে উল্লেখ করে কেসিএনএ। সামরিক উন্নয়নের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই মিসাইলটি তৈরি করা হয়েছে বলেও সেসময় জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
বিবিসি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে হাইপারসনিক মিসাইলকে ‘কৌশলগত অস্ত্র’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। সাধারণভাবে এটির অর্থ দাঁড়ায়, মঙ্গলবার সফলভাবে পরীক্ষা চালানো এই ক্ষেপণাস্ত্রের পারমাণবিক সক্ষমতা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার দূত কিম সং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেন। তিনি সেখানে বলেন, উত্তরের অস্ত্র ‘উন্নয়ন, পরীক্ষণ, উৎপাদন এবং সংরক্ষণের’ অধিকার আছে। সেসময় তিনি আরও বলেন, তার দেশ ‘নিজেকে রক্ষার উদ্দেশে জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ছে’।
টিএম