করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া নিয়ে কারও আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয় জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, টিকা পাওয়া নিয়ে কেউ আতঙ্কিত হবেন না। ইচ্ছুক প্রত্যেকেই টিকা পাবেন।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডব্লিউএইচও’র একটি অনুষ্ঠানে সরাসরি (লাইভ) যুক্ত হয়ে সংস্থাটির সহকারী মহাসচিব মারিয়েঙ্গালা সিমাও একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের সকল প্রান্তের মানুষের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনি টিকা পাবেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের সকল দেশ, সকল মানুষ যেন করোনা টিকা পায়, সে লক্ষ্যে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

সিমাও বলেন, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ৪০টিরও বেশি উচ্চ আয়ের দেশ।

করোনা টিকা ‘কোভ্যাক্স’র মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে ডব্লিউএইচও। এ জন্যে ২০০ কোটি ডোজ টিকা পেতে সংস্থাটি ৫টি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও করেছে।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের ২০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চায় ডব্লিউএইচও।

সিমাও বলেন, আমরা আশা করছি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ টিকার প্রথম ডোজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, ৬৪টি টিকা এখন পর্যন্ত মানুষের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ২২টি টিকার।

এছাড়া বিভিন্ন ল্যারেটরিতে আরও ১৭৩টি পরীক্ষামূলক টিকা আবিষ্কারের কাজ এগিয়ে চলছে। এসব টিকাও মানুষের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে।

টিকার এই ‘অবিশ্বাস্য সংখ্যাকে’ স্বাগত জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান। টিকার মধ্যে ভিন্নতা ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ফাইজার-বায়োএনটেকের দুটি টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও। কিন্তু এই টিকা সংরক্ষণের জন্য অতি ঠাণ্ডা সংরক্ষণাগার প্রয়োজন হয়।

স্বামীনাথান বলেন, ‘অনেক দেশে এটাই একটা বড় সমস্যা।’

সূত্র: এএফপি

টিএম