আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় শুরু করতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। রোববার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতির বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোকে আফগানিস্তানে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে- নিশ্চয়তা দিয়ে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখি রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘কাবুল বিমানবন্দরের বিভিন্ন অংশের মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। এটি এখন সকল প্রকার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

‘আমরা চাই, বিমাবন্দরটি আবার আগের মতো সচল হোক। এ ব্যাপারে দেশি-বিদেশি সব বিমান পরিবহন সংস্থাকে পূর্ণ নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আইইএ (ইসলামিক এমিরেত অব আফগানিস্তান)।’

গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনী কাবুল দখলের পর থেকে আফগানিস্তান ত্যাগ করার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছিল দেশটিতে বসবাসরত বিভিন্ন পাশ্চাত্য দেশের নাগরিক ও তাদের সহযোগী আফগানদের মধ্যে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছিলেন বিমানবন্দরের ফ্লাইট ধরার জন্য।

তালেবান অধিকৃত আফগানিস্তান থেকে নিজ নাগরিক ও সহযোগী আফগানদের সরিয়ে নেওয়া বা প্রত্যাহার কার্যক্রম যখন তুঙ্গে সেই সময়, ২৬ আগস্ট ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণ হয়েছিল কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায়। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের খোরাসান শাখা আইএসকে পরিচালিত সেই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন মার্কিন সেনা সদস্যসহ অন্তত ১৭০ জন মানুষ।

প্রায় ১৫ দিনের ব্যাপক হুড়োহুড়ি, এবং বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও অংশ। পরে কাতার ও তুরস্কের তত্ত্বাবধানে সেগুলো মেরামত করা হয়।

সর্বশেষ পশ্চিমা রাষ্ট্র হিসেবে গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে মানুষ প্রত্যাহার কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা পিআইএ ব্যতীত অন্য কোনো আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার উড়োজাহাজ কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়ন বা অবতরণ করেনি।

একমাত্রা বিদেশি পরিবহন সংস্থা হিসেবে পিআইএ যদিও আফগানিস্তানে সেবা দিচ্ছে, তবে তা খুব সীমিত আকারে এবং সেই সেবার জন্য সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ