অভিযুক্ত লীলু ত্যাগী (লাল বৃত্ত চিহ্নিত)

সম্পত্তি হাতাতে ২০ বছর ধরে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদে। খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ আগস্ট ব্রিজেশ ত্যাগী নামের এক ব্যাক্তি থানায় এসে জানান- এক সপ্তাহ ধরে তার ছেলে রেশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে সম্পত্তি নিয়ে ব্রিজেশের সঙ্গে বিবাদ চলছে তার ছোট ভাই লীলুর। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সূত্র পায় পুলিশ। অবশেষে মুরাদনগর থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয় লীলুকে।

গাজিয়াবাদ পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে লীলু। সে জানায়, ভাইপোকে অপহরণ করে তার পর তাকে বিষ খাইয়ে খুন করে সে। পরে মৃতদেহ গুমের জন্য একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশের সামনে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে লীলু জানায়, ২০ বছর আগে ২০০১ সালে প্রথমে দাদা সুধীর ত্যাগীকে বিষ খাইয়ে খুন করে সে। তার কয়েক মাস পরে সুধীরের আট বছর বয়সী মেয়ে পায়েলকেও একইভাবে খুন করে সে। জোড়া খুনের তিন বছর পর সুধীরের বড় মেয়ে ১৬ বছর বয়সী পারুলকে খুন করে লীলু। এখানেই সে থামেনি। ২০১২ সালে ব্রিজেশের আর এক ছেলে নিশুকেও সে খুন করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গাজিয়াবাদে ত্যাগী পরিবারের একটি জমি রয়েছে, যার মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। সেই জমি হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই একের পর এক খুন করেছে লীলু। তার স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, লীলুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় লীলুকে সাহায্য করার অভিযোগে আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

টিএম